সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ২৮, ২০২৫
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২৫
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সিলেটে প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী কার্যক্রম বন্ধ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১ টায় সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
সিলেট সিপিবি সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, সাম্যবাদী আন্দোলনের অ্যাডভোকেট রণেন সরকার রনি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডা. হরিধন দাস, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিরুল ইসলাম রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পিনাক রঞ্জন দাস প্রমুখ ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাচীনকাল থেকেই পাহাড়-টিলা, হাওর, নদীর অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সিলেটের প্রাণ-প্রকৃতি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটকে অভিহিত করেছিলেন ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ নামে। অথচ আজ অপরিকল্পিত নগরায়ন, ব্যাপক লুটপাট আর প্রকৃতির উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নীতি ‘শ্রীভূমি’ সিলেটকে হতশ্রী করে তুলেছে।
অতি সম্প্রতি সিলেটের ‘সাদাপাথর’ কান্ড আমাদেরকে ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। এ ঘটনা শুধু পাথর লুট নয়, এটি সিলেটের প্রাণ-প্রকৃতির উপর একটি আঘাতও বটে। ইতিমধ্যে এই পাথরকান্ডে জড়িত অনেকেরই নাম সামনে এসেছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি হয়ত তদন্তে আরও অনেক নাম আসবে। আমরা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করছি। শুধু সাদাপাথর নয়, জাফলং, শ্রীপুর উৎমাছড়াসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ্যভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন, ভূমিদখল প্রক্রিয়া চালু আছে। এ সকল কর্মকান্ড বন্ধ এবং প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করি। আমরা মনে করি, প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষা করে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি অনুসরণ পাথর ও বালু উত্তোলন করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের সতর্ক এবং কার্যকর উদ্যোগ জরুরি।