সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
০২:২২ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
০২:২২ অপরাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটের ঘটনায় বিভিন্ন স্থান থেকে লুটের পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিন যদিও নতুন করে কোনো পাথর উদ্ধার হয়নি। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ঘনফুট পাথর। এছাড়া সম্প্রতি সিলেট সদরের ধোপাগুল ক্রাশিং জোন ও গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৯১ ঘনফুট ভাঙা পাথর জব্দ করে প্রশাসন। সেই পাথরগুলো এবার উন্মুক্ত নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। এরমধ্যে ধোপাগুল এলাকা থেকে ৬১ হাজার ৯০০ ঘনফুট ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৬ হাজার ১৯১ ঘনফুট ভাঙা পাথর উদ্ধার করা হয়।
গত রবিবার ভাঙা পাথর নিলাম বিষয়ে বিএমডির পরিচালক (উপসচিব) আহসান উদ্দিন মুরাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধোপগুলের পাথর নিলাম হবে। যে কেউ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। নিলামে অংশ নিতে বিএমডির অনুকূলে ২ লাখ টাকার ফেরতযোগ্য পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জামানত জমা দিতে হবে।
জাফলংয়ের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জব্দ ভাঙা পাথরের নিলাম আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে নিলামে অংশ নেওয়া যাবে। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশগ্রহণকারীদের বিএমডির অনুকূলে জমা দিতে হবে ১ লাখ টাকার ব্যাংক ড্রাফট জামানত হিসেবে। সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট ইউএনও কার্যালয়ে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
নিলাম বিজ্ঞপ্তি ও শর্তাবলি বিএমডি, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে উন্মুক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, জব্দ করা ভাঙা পাথরের নিলাম আহ্বান করেছে বিএমডি। এছাড়া আস্ত যেসব পাথর উদ্ধার হয়েছে সেগুলো প্রতিস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, গতকাল পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০ লাখ ঘনফুট লুট হওয়া পাথর জব্দ করা হয়েছে।
এরমধ্যে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র ও জাফলংয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ১৭ লাখ ঘনফুট। গতকাল এক দিনে পুনঃস্থাপন হয়েছে ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর। এছাড়া ডাম্পিং স্ট্যান্ডে প্রতিস্থাপনের জন্য রাখা হয়েছে ১৩ লাখ ৪০ হাজার ঘনফুট।
এএফ/০১