সাদাপাথর কাণ্ড: দুদকের প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
১১:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
১১:২৮ অপরাহ্ন



সাদাপাথর কাণ্ড: দুদকের প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু


সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় অর্ধশতাধিক রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, অনুসন্ধানের পর অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সীমান্তে সাদা পাথর নামে একটি পর্যটনকেন্দ্রের পাথর উত্তোলন অনুমতি ছাড়াই গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বিশেষ করে শেষ তিন মাসে নির্বিচারে হচ্ছে। পর্যটনকেন্দ্রের সংরক্ষিত পরিবেশ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর উত্তোলন করা হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, পূর্বে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রতিবেদনে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে।

প্রাথমিক তদন্তে মোট ৫৩ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তি রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ করে লুটপাটে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন।

এছাড়া দুদকের তদন্তে উল্লেখযোগ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনীতিকদের নামও উঠে এসেছে। বিএনপির মধ্যে সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সাহাব উদ্দিন সহ আরও বহু নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও এনসিপির কিছু নেতা ও কর্মীর নামও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারও দায়িত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক জানান, প্রকাশ্য অনুসন্ধানটি দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য চালানো হচ্ছে এবং নথিপত্রের ভিত্তিতে যাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এএফ/০৪