সুনামগঞ্জে তথ্য দেননি প্রবাসীরা, ঘরে ঘরে যাচ্ছে পুলিশ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


মার্চ ২৯, ২০২০
১০:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২০
১০:৫৩ অপরাহ্ন



সুনামগঞ্জে তথ্য দেননি প্রবাসীরা, ঘরে ঘরে যাচ্ছে পুলিশ

কেন্দ্রীয় পুলিশের নির্দেশনা ছিল সম্প্রতি যেসব প্রবাসী দেশে ফিরেছেন তাদেরকে থানায় উপস্থিত হয়ে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় থানা পুলিশকে অবগত করতে হবে। কিন্তু সুনামগঞ্জে গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারের অধিক প্রবাসী ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এলেও তারা কেউ সরকারের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা মানেননি। কোনো থানায়ই কোনো প্রবাসী বা তাদের প্রতিনিধি এসে তথ্য দেননি। বরং পুলিশই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২ হাজার ৩শ ৭০ জন প্রবাসীর তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।

 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার প্রবাসী সুনামগঞ্জে এসেছেন। এরপর যারা এসেছেন, সরকারি কঠোরতার কারণে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫শ ৭৯ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা এদের কেউই পুলিশের কাছে গিয়ে বা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনা মেনে থানায় খবর দেননি। ইমিগ্রেশনের তথ্য নিয়ে পুলিশই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খুঁজে বের করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে এসেছে।

 

জানা গেছে, পুলিশ গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইমিগ্রেশনের তথ্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদেশফেরতদের তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেকের বাড়ির ঠিকানায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। ইমিগ্রেশনে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ ৭০ জন বিদেশফেরতের তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। কিন্তু কেউ থানায় এসে কোনো তথ্য দেননি বা তাদের কোনো প্রতিনধি এসে পুলিশকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেননি।

 

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোনো প্রবাসী নিজে এসে বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজেদের তথ্য পুলিশকে দেননি।

 

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, আমাদের পুলিশ গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে। কোনো প্রবাসী বা তাদের স্বজন সহযোগিতা করেননি। আমরা যাদের খুঁজে বের করেছি, তাদের কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। পুলিশ এখনও এই কাজ করছে।

 

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর বিপিএম বলেন, কোনো প্রবাসী পুলিশকে নিজ থেকে তথ্য দেননি। বরং আমরাই নানা জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে তাদের খুঁজে বের করেছি।