জগন্নাথপুরে ১৫ দিনের খাদ্যসামগ্রী পেল ৪০টি পরিবার

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ০১, ২০২০
১০:০২ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
১০:০২ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে ১৫ দিনের খাদ্যসামগ্রী পেল ৪০টি পরিবার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঘরবন্দি অসচ্ছ্বল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ৪০টি পরিবারকে ১৫ দিনের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের সামাজিক সংগঠন আটঘর ক্রীড়া ও উন্নয়ন সংস্থা। 

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আটঘর গ্রামের গৃহবন্দি হতদরিদ্র ৪০টি পরিবারের মধ্যে ৪ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ৩ কেজি পেঁয়াজ, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ২০০ গ্রাম গুড়া মরিচ, ১০০ গ্রাম হলুদ ও ১০০ গ্রাম ধনিয়া বিতরণ করা হয়।

এসব বিতরণকালে ত্রাণগ্রহণকারীদের কোনো ছবি তোলা হয়নি। সংগঠনের এমন আয়োজন এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে। 

বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি লিতু খান, সহ-সভাপতি শিপু খান, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লায়েক খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুকু খান, আকমল খান, কোষাধ্যক্ষ হাসানুর রহমান খান, সহ-কোষাধ্যক্ষ রোমান খান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আফজল খান, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক মারুফ খান, সমাজসেবা সম্পাদক রফি, প্রচার সম্পাদক সাহাব উদ্দিন খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাজিদ খান, সিনিয়র সদস্য সাহেল খান, সফি খান, সালমান খান ও ইকবাল খান।

সংগঠনের সভাপতি লিতু খান জানান, করোনার সংক্রমণ এড়াতে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র লোকজন ঘরবন্দি থাকায় তারা অভাব-অনটনে আছেন। আমাদের আটঘর গ্রামে ১০০টি অসচ্ছল পরিবার ঘরবনদী। তাদের মধ্যে ৪০টি পরিবারকে ১৫ দিনের উপযোগী ৪০ হাজার টাকার খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য পরিবারগুলোকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এলাকার প্রবাসীদের পৃষ্ঠপোষকতায় আটঘর ক্রীড়া ও উন্নয়ন সংস্থা গড়ে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব ঘরবন্দি পরিবারকে আমরা সহায়তা দেব। তবে এ জন্য প্রবাসীদের সহায়তা প্রয়োজন।

স্থানীয় মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীন বলেন, ব্যতিক্রমী আয়োজনে সংগঠনটি যেভাবে অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, এটি প্রশংসিত একটি মহৎ উদ্যোগ।

তিনি করোনার এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের পাশে থাকার জন্য প্রবাসী, সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।