করোনায় একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ০৫, ২০২০
০৮:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২০
০৯:৩৭ অপরাহ্ন



করোনায় একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১৮
সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন

করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে করোনায় মারা গেলেন ৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৮ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮ জন।  এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। অর্থাৎ মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।

আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

পরে ব্রিফিংয়ে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ১৩ জন শনাক্ত হয়েছেন আইইডিসিআরে, বাকি পাঁচজন ঢাকার বাইরের ল্যাবে শনাক্ত। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন মারা গেছেন, তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।

এরপর ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং নয়জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ১২ হাজার ৬৬৯ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং তিনজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪০০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও তাদের মধ্যে ৩৩৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জন। মারা গেছেন ৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৩ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

এএফ/০৪