চিকিৎসক পরিবহনে দুটি গাড়ি দিলো জালালাবাদ এসোসিয়েশন

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৭, ২০২০
০১:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০
০১:১১ পূর্বাহ্ন



চিকিৎসক পরিবহনে দুটি গাড়ি দিলো জালালাবাদ এসোসিয়েশন

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় চিকিৎসক পরিবহনে দুটি গাড়ি দিয়েছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আহ্বানে এসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি জিপ ও একটি নোহা গাড়ি দেওয়া হয়। এই গাড়ি দুটির ভাড়াও বহন করবে এসোসিয়েশন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্রকে গাড়ি দুটি বুঝিয়ে দেন মেয়র।

এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের পরিহনের ব্যবস্থা করতে জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও নোহা গাড়ি দিয়েছেন। এ দুটি গাড়ি চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের বহন করবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐচ্ছিক হিসেবে এই সহযোগিতা করেছি। এছাড়া করোনা রোগীদের বহনে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করেছি। আগামীকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) হয়তো অ্যাম্বুলেন্সগুলোও হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও সাপোর্ট দেওয়া হবে।’ গাড়ি উপহার দেওয়ায় নগরবাসীর পক্ষ থেকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান মেয়র। 

করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি বাঁচতে না পারি, তাহলে কিসের প্রয়োজন। আগামী কয়েকদিন আমরা কঠোরভাবে সরকার ঘোষিত নিয়ম পালন করি। ঘরে থাকি, নিজেদেরকে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখি। যেখানে রমজান মাসেও ঘরে নামাজ আদায় করতে বলা হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। আইন মেনে চলতে হবে। এই আইন আপনি নিজে বাঁচার জন্য, পরিবার-পরিজনদের বাঁচার জন্য। আপনি ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে পুরো পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবেন।’

সরকারি ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘করোনা ভাইরাস কতদিন থাকবে, তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীরা অর্থ দিয়েছেন, অনেকে চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সেগুলো থেকে ইতোমধ্যে ৭৯ হাজার পরিবারকে সহযোগিতা দিয়েছি। কিছু ওয়ার্ড বাকি আছে, সেগুলোও অনুসন্ধান করে দিচ্ছি। তবে এটাতো শেষ নয়, আগামীতে আরও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। নিম্নবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে হবে। এটা দিয়ে কেবল শেষ নয়।’ বিপদে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

এনপি-০৭/বিএ-১৫