ত্রাণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ৩ চেয়ারম্যান, ৯ সদস্য বরখাস্ত

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৯, ২০২০
১১:০৭ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২০
১১:০৭ অপরাহ্ন



ত্রাণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ৩ চেয়ারম্যান, ৯ সদস্য বরখাস্ত

করেনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ অন্য অভিযোগে আরও ৩ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৯ সদস্যসহ ১২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রবিবার (১৯ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদেরকে বরখাস্ত করে পৃথক আদেশ জারি করেছে। 

এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন সদস্যসহ মোট ২৪ জন জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত হলেন।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখদুম কবীর তন্ময়, নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বড়মহাটি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজা, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনুজ্জামান এবং ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী অনিয়মের দায়ে বরখাস্ত হয়েছেন।

এছাড়া নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোশারেফ হোসেন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য রনি বেগম, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আল-আমিন চৌধুরী এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মোছা. আছিয়া খাতুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এসব ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে জনস্বার্থের পরিপন্থি কাজ করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করা হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎ, খাদ্য সহায়তা চাইতে আসা লোকজনকে মারধর, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিজের নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থাকা এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অংশ না নেওয়ায় এদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া কেউ কেউ ত্রাণ আত্মসাৎসহ অন্য কারণে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন; কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জানাতে তাদের নোটিসও পাঠানো হয়েছে।

বিএ-১১