কালের কণ্ঠের সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত, ১১ সহকর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন



কালের কণ্ঠের সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত, ১১ সহকর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে
দুটি ইউনিট লকডাউন

এবার দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন কলের মাধ্যমে তার নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থার পর ফলাফলে তার কভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। এর আগে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এর প্রতিবেদন। পরবর্তীতে আরও পাঁচজন সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ ওই কর্মী যে ইউনিটে কাজ করেন সেই পুরো ইউনিট আজ রবিবার সকালে লকডাউন করেন। একই সঙ্গে ওই কর্মী সর্বশেষ কর্মস্থলে উপস্থিতির দিনে আরেকটি ইউনিটের সহকর্মীদের সংস্পর্শে থাকায় ওই ইউনিটও লকডাউন করা হয়েছে। আগে থেকেই ওই দুই ইউনিট আলাদাভাবে সংরক্ষিত কক্ষে পরিচালিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি ওই দুই ইউনিটসহ পুরো অফিস জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ওই দুটি ইউনিটের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তার খোঁজ খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

আক্রান্ত ওই কর্মী রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের পর্যবেক্ষণে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গ ও পরিস্থিতি অনুসারে তাকে প্রয়োজন মতো হাসপাতালে নেওয়া হবে বলেও আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদেরও আজ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। কাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভার ক্লিনিকে সংশ্লিষ্টরা নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আক্রান্ত বলে শনাক্ত হলে তিনি যদি কোনো আলাদা কক্ষে থেকে থাকেন তবে সেই কক্ষ এবং তিনি যেখানে বা যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেই অংশটুকু সাময়িক বন্ধ করে তা জীবানুনাশক দিয়ে ভালোভাবে জীবানুমুক্ত করলেই চলে। পুরো প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা লকডাউনের প্রয়োজন নেই। যদি বেশি সংখ্যকের সংক্রমণ ধরা পড়ে তবে পুরো বা নিশ্চিত হওয়া যায় যে আক্রান্তরা কোনো স্থাপানের বেশির অংশের সংস্পর্শে ছিলেন তবে পুরো ফ্লোর বা স্থাপনা জীবানুমুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে এবং সবার কোয়ারেন্টিনের প্রশ্ন আসে।

কালের কণ্ঠ প্রশাসনিক বিভাগ সূত্র জানায়, ওই ফটোসাংবাদিক আগেও এক দফা মৃদু উপসর্গ নিয়ে ১৯ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার তিনি কিছু সময়ের জন্য কর্মস্থলে আসেন। তখন তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত বাসায় পাঠিয়ে দেন। তার দুদিন পর তিনি পরীক্ষা করানোর পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এএফ/১২