আরও ১০ হাজার টন চাল ও সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০১, ২০২০
০৭:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০১, ২০২০
০৭:৫৫ অপরাহ্ন



আরও ১০ হাজার টন চাল ও সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সপ্তম দফায় আরও ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং নয় হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দ অর্থের মধ্যে চার কোটি ৭০ লাখ টাকা নগদ বিতরণের জন্য এবং এক কোটি ৬০ লাখ টাকা শিশু খাদ্য কিনতে দেওয়া হয়েছে ।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠিয়েছে।

দেশে লকডাউন শুরুর পর থেকে ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সবমিলিয়ে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং এক লাখ ২৩ হাজার ৮৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিল সরকার।

জেলা প্রশাসকদের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে এসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে। আর শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জি-টু-জি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়োদুধ ত্রাণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই দুধ দেওয়া যাবে না।

এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেঁজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসকদের যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এনপি-০৯