হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৬৪৫৯৪ জন

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০১, ২০২০
০৮:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০১, ২০২০
০৮:৫৬ অপরাহ্ন



হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৬৪৫৯৪ জন

করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে হজে যাওয়ার নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়িয়ে অর্ধেক কোটাও পূরণ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৪৫৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ১৩৭ জনসহ মোট ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন নিবন্ধন করেছেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৯ জিলহজ হজ হবে এবার। তবে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে সবকিছুই এখন নির্ভর করবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর। ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সৌদি আরব বিদেশিদের ওমরাহর অনুমতি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছিল আগেই। এখান পুরো দেশ রয়েছে লকডাউনে; মসজিদে জামাতে নামাজ পড়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ কারণে এখনই হজের পরিকল্পনা চূড়ান্ত না করে পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব।

এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই হজের জন্য নিবন্ধন করার সময় তিন দফায় বাড়ানো হয়। আগ্রহীদের দ্বিধায় না থেকে নিবন্ধন করে ফেলার পরামর্শ দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। কোটা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজ শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমিতো বড় করে সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছি এবং অভয় দিয়েছি যে, হজে যেতে না পারলে কোনো টাকা মাইর যাবে না।

“তারপরতো করেছে, অনেকেই করেছে। ওমরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরতো সবাই সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু অভয় দেওয়ার পরতো এতগুলো মানুষ নিবন্ধন করেছে।”

তিনি বলেন, “এখন সবকিছু করোনাভাইরাসের উপর নির্ভর করে। এটার জন্যইতো সবকিছু। আল্লাহর রহমতে হজ হলে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা যাবেন। আর ধর্ম মন্ত্রণালয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও আপনারা জানবেন।”

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার বলেন, “কোটা পূরণ হয়েছে কি হয়নি সেটা বিষয় নয়। সাড়ে ৬৪ হাজারতো অনেক মানুষ।” 

এ বছর ১ মার্চ থেকে হজে যেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু হয়। সে সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়লে নিবন্ধনে ভাটা পড়ে। এরপর প্রথম দফায় ২৫ মার্চ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এবং শেষ দফায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।

 

এনপি-১১