ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে কেনিয়ায় মৃত্যু ১৯৪

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০৭, ২০২০
০২:৩৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ০৭, ২০২০
০৯:২৫ পূর্বাহ্ন



ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে কেনিয়ায় মৃত্যু ১৯৪

টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ১৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন আরও লাখের অধিক মানুষকে। অনেকে বন্যার মধ্যে নিজের ঘরে আটকা পড়েছেন। দেশটির সরকার বুধবার এই তথ্য দিয়েছে।

কেনিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর টানা বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে ভূমিধসের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আগামী কয়েক সপ্তাহেও এই ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

মে মাসে বর্ষাকাল শেষ হলেও এবার তা হচ্ছে না। পশ্চিমাঞ্চলের বুদালাঙ্গিতে এনজয়া নামের নদী প্লাবিত হওয়ার পর এলাকায় সব বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা নৌকা কিংবা অন্যান্য যানবাহনের মাধ্যমে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

কেনিয়া সরকারে মুখপাত্র সাইরাস ওগুনা টুইট করে জানিয়েছেন, বিগত তিন সপ্তাহের এই বন্যায় এক লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফলে মহামারি করোনার বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া পদক্ষেপগুলো নানা জটিলতায় পড়েছে। ইতোমধ্যে করোনায় দেশটিতে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। করোনার বিস্তার রোধে এসব মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। তবে এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে করোনার বিস্তার ঠেকানো যাবে তা নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউগানে ওয়ামালওয়া বলেছেন, বন্যা ও ভূমিধসের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলো।তিনি বলেছেন, ‌‘বন্যা ও ভূমিধসে গতকাল একদিনে ৩০ জন মারা গেছেন।’ জ্বালানি মন্ত্রী চার্লস কেটার বলেছেন, ‘দেশের দুটি প্রধান বাঁধে প্রায় প্লাবিত হওয়ার মুখে।’ যদি এই বাঁধ দুটি প্লাবিত হয় তাহলে আসন্ন দিলগুলোতে বন্য পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

এএফ-০২