ঈদগাহে নয়, ঈদের জামাত মসজিদে

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১৫, ২০২০
০৬:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২০
০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন



ঈদগাহে নয়, ঈদের জামাত মসজিদে
কোলাকুলি ও হাত মেলানো বারণ করে নির্দেশনা জারি

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এবার রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের জামাতে বারণ করে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার।

সেইসঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব নির্দেশনা না মানলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এবছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হল।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে মোট কতজন ভেতরে জামাতে অংশ নিতে পারবেন, তার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। রোজার শুরুতে তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এক মাসের মাথায় গত ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আবার জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় মসজিদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ঈদের জামাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

যেহেতু এবার ঈদগাহে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে, সেহেতু এবার একই মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত হবে বলে জানানো হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্দেশনা

০ ঈদ জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সবাই নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে যাবেন।

০ মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবান-পানি রাখতে হবে।

০ প্রত্যেকে নিজের বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যাবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

০ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

০ নামাজের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে

০ শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

০ সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

০ সংক্রমণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে সবাইকে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো পরিহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

০ করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

০ খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিএ-০২