নিজে বাঁচি, দেশকে বাঁচাই

তন্ময় নাথ তনু


জুন ০৫, ২০২০
০১:০৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৫, ২০২০
০১:১০ পূর্বাহ্ন



নিজে বাঁচি, দেশকে বাঁচাই

বিশ্ব জুড়ে ভয়াবহ থাবার নাম নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। এই ভাইরাসের তা-বে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। অদৃশ্য ক্ষুদ্রতম ভাইরাস যা খালি চোখে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা নেই মানুষের। আমাদের অসচেতনতার কারণে কখন কোথায় কীভাবে এই ভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে আমরা কেউই জানি না। দিন দিন বেড়ে চলছে মৃত্যু ও আক্রান্তের তালিকা। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে সময় লাগবে না। যদি না আমরা সচেতন থাকি। আর সচেতন না থাকলে প্রতিরোধকমূলক নীতিটা যদি না মানি তবে এই ভাইরাস থেকে আমরা কেউ রেহাই পাবো না। যতদিন পর্যন্ত কোন প্রকার প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে না, ততোদিন পর্যন্ত সচেতনতা ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের হাতে নেই। প্রয়োজন সমাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপ্রয়োজনে বাহিরে না যাওয়া। 

আমাদের দেশের কিছু অসচেতন মানুষ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা রকম অজুহাতের দোহাই দিয়ে। এ যেন এক উৎসব আয়োজন। কারও মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। মৃত্যুকে ভয় নেই। শপিং আর শপিং। সেদিন যমুনা টিভির সংবাদের মাধ্যমে দেখলাম টিভিতে একজন মহিলা বলছেন, ‘ভাইরাস ধরুক আর মৃত্যু আসুক মাকেটিং করতে হবে! মাকেটিং না করা হলে জীবন বাঁচবে না? একবার ভেবে দেখেছেন আমাদের এই অসচেতনতার কারণে আমরা আমাদের দেশের কত বড় ক্ষতি করছি।

একজন মানুষের মাধ্যমে শেষ হয়ে যেতে পারে পুরো জাতি। আপনার কাছ থেকে আমি, আমার কাছ থেকে অন্যজন এভাবে নেটওয়ার্কিং বাড়বে। করোনা ভাইরাস দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বোঝানোর কিছু নেই। প্রায় দেড় মাসে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানি। আমরা কেউ অবুঝ শিশু না। সবাই নিজের ভালো বুঝি। কিন্তু কিছু অসচেতন মানুষের জন্য মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হতে পারে দেশ। 

অন্যান্য দেশে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। আমরা চাইনা আমাদের সোনার বাংলাদেশে নেমে আসুক এমন ঝড়। তাই সকলের প্রয়োজন আরও বেশি সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা। 

আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি ‘আমি ক্ষুদ্র সাধারণ একজন নাগরিক। আমার মতে, যত দিন নোভেল করোনা ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হচ্ছে, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। যারা অসচেতন ভাবে চলাফেরা করছেন তাদের সচেতনতায় আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নির্দেশ। সরকার, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নির্দেশনাগুলো নজরে রাখতে হবে, কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

আসুন এখনো সময় আছে আমরা আরও সচেতন থাকি। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। নিজে বাঁচি, দেশের মানুষকে বাঁচাই। দেশ বাঁচাই। পৃথিবী করোনামুক্ত হলে এবং আমরা বেঁচে থাকলে অনেক উৎসব পাবো। অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সময় পাবো। এখন সেই সময় না। নতুন সূর্যের আলোয় আবারও একটি সুন্দর সকাল আসবে প্রিয় মাতৃভূমিতে, এই প্রত্যাশা।

লেখক : নাট্যকর্মী