নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
০৭:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০৮, ২০২৩
০৩:০১ অপরাহ্ন
শীতের প্রকৃতি যেমন হওয়ার কথা তেমন-ই ছিল গতকালের সন্ধ্যার আবহ। কুয়াশা ঘেরা, প্রাণহীন। তবে সে আবহ যেন মিলিয়ে গেল চা-বাগান ঘেরা পথ পাড়ি দিতে দিতে। মনে হলো আনন্দের ফোয়ারা বইছে কোথাও। কোথাও সুর ঝরছে। সিলেটের বিমানবন্দর সড়কের চা বাগানগুলোতে অন্যরকম সজীবতা। সেই সজীবতাকে সঙ্গী করে অতিথিরা প্রবেশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ছয়টাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত অতিথিরা মেতে উঠেন আনন্দ আড্ডায়। স্নিগ্ধ-সজীব এমন দৃশ্য দেখা গেল সিলেট মিরর পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানস্থলে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বিমানবন্দর এলাকার পাঁচ তারকা হোটেল ‘গ্র্যান্ড সিলেট’-এর হল রুমে আয়োজন করা হয় ‘সিলেট মিরর পুরস্কার ২০২২’ অনুষ্ঠানের। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো হল রুম। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেট মিরর অগ্রগামী চিন্তার কাগজ। তাদের খবর প্রকাশ ও পরিবেশনের প্রক্রিয়ায় সে ছাপ পাওয়া যায়। নান্দনিক ছাপা ও পরিচ্ছন্নতাই সিলেট মিরর-কে আলাদা করেছে। সব মিলিয়ে সিলেট মিরর দেশ ও জনগণের মঙ্গলে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশা।’
বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্যতা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যকে আমি অন্যায় মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান দারিদ্র্যজনিত অন্যায় যেন আমরা সবাই মিলে সরিয়ে ফেলি। শহর ও গ্রামের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে এগুলো আমাকে পীড়া দেয়। সরকার এই দারিদ্রজনিত অন্যায় দূর করতে কাজ করছে।’ মন্ত্রী দেশের অবহেলিত অঞ্চল চর, হাওর, উপকূলের দিকে যাতে সম্পদ যায় তার চেষ্টা তিনি করেন বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট মিরর আজ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে কাজ করতে হয়। শুধু সংবাদপত্র হয়ে থাকতে চায় না এ পত্রিকাটি। তারা একেক সময় একেকটি বিষয় সামনে নিয়ে আসে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়।’
আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে সিলেট মিরর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সিলেটের সংবাদপত্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সিলেট মিরর ভূমিকা রেখেছে। গুণী ব্যক্তিদের বের করে এনে সংবর্ধিত করে অনন্য কাজ করেছে। গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা সিলেটবাসীও গর্বিত।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বারাকা গ্রুপ সিলেটের শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে আসছে। হতদরিদ্রদের জন্য তারা এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।’
পরিকল্পনামন্ত্রীকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পেয়ে সিসিক মেয়র সিলেটের জন্য সরকারি অর্থ সহায়তা চেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ধারাবাহিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। সিলেটের বিভিন্ন সমস্যার চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। এসময় মেয়র বলেন, ‘শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করে ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য বসবাসযোগ্য সিলেট নগর গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সিলেট মিরর পুরস্কার ২০২২-এর জুরি বোর্ডের আহ্বায়ক খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সিলেট তো সবকিছুতেই এগিয়ে আছে। শিক্ষা, ব্যবসা, সংস্কৃতি-সাহিত্য সবখানেই এগিয়ে আছে এ অঞ্চল। সিলেট দেখে অন্যান্য অঞ্চল যদি উৎসাহ পায় তবে সেটা হবে সিলেট মিরর-এর জন্য বড় প্রাপ্তি। সিলেট মিরর আঞ্চলিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আমি যতটুকু দেখেছি তারা শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিস্তারে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দল-মতের উর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে। সিলেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে সিলেট মিরর। শুধু তথ্য-উপাত্ত দিয়ে নয় বরং সত্যের সন্ধানে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সিলেট মিরর-এর মতো আঞ্চলিক পত্রিকা দেশের অন্য জায়গায়ও হয় তবে প্রতিটি এলাকা উঠে আসবে। ভবিষ্যতে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমাদের গৌরাবান্বিত করবে।’
সিলেট মিরর পুরস্কার-২০২২ এর জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘সিলেট আমার খুব প্রিয় একটি ভূমি। ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে সিলেট অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় সিলেট ছিল সাহিত্য সংস্কৃতিতে ভরপুর। সিলেট অঞ্চলের গুনী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের নাম স্মরণ করে তিনি বলেন, মাঝখানে পিছিয়ে গেলেও সিলেট এখন ফের জেগে উঠছে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রকাশনার প্রতি অনেক অবহেলা আছে। পাঠকও দিন দিন কমে যাচ্ছে। পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। জাতি যদি পাঠ বিমুখ হয় তবে তা খুবই হতাশার। স্পন্সররা যদি যথাস্থানে স্পন্সর করেন তবে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রকাশনার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’
বার্জার পেইন্টসের প্রধান নির্বাহী রূপালী চৌধুরী তাঁকে জুরি বোর্ডের সদস্য করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই মণিহার আমায় নাহি সাজে। আমি ব্যবসায়ী মানুষ। সিলেট মিরর-এর এই জুরি বোর্ডের কাজের সঙ্গে আমি জড়িত হতে পেরে খুবই গর্বিত। সমাজের মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে শুধুমাত্র ঢাকাভিত্তিক নয় যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে যান তাদেরকে সিলেট মিরর-এর মতো পুরস্কৃত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচ গুণীজনকে এ বছরের সিলেট মিরর পুরস্কার দেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় চার সফল ব্যক্তিকে। তারা হলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ইয়াসির আজমান, স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এবং যুক্তরাজ্যের নারী ফুটবল কোচ এবং কমনওয়েলথ গেমসে ব্রিটেনের রাণীর পক্ষে মশাল বহন করা সিলেটের মেয়ে ইয়াসমিন হুসেনকে।
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাতে এসে ইউনিলিভার বাংলাদেশের শীর্ষকর্তা জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমার জন্য বিষয়টি কিছুটা বিব্রতকর কারণ আমি এমন কাজ করিনি যার জন্য বিশেষ সম্মাননা পাবো। আমি জানি আজকে যাদের সিলেট মিরর পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাদের মুগ্ধ হওয়ার মতো অনেক গল্প আছে। তাই আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সম্মানান জানানোর জন্য, আপনারা আমাকে সম্মানিত করেছেন।’
সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক কাগজ হলেও অনেক দূর এগুতে চাই। শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশ করেই দায়িত্ব পালন করি না। ইতিবাচক কর্মকান্ডও আমরা চালিয়ে যেতে চাই। ঈদ, পূজা ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছি। সম্মাননার মাধ্যমে আমরা সৃষ্টিশীল কাজে সবাইকে পাশে পেতে চাই। আমাদের সোনালী দিন না এলেও রূপালী ঝলক আমরা দেখতে পাবো বলে আমি আশাবাদী। অনেকে যেখানে সংকট দেখেন আমরা সেখানে সম্ভাবনা দেখি।’
সিলেট মিরর সম্পাদক বলেন, ‘এই গ্রুপের পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে কোনো বাড়তি অভিলাষ নেই। সংবাদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গ্রুপের কোনো হস্তক্ষেপ বা অনুরোধ কখনও কেউ করেননি। করোনা মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের অনেক পত্রিকা কর্মী ছাঁটাই করলেও সিলেট মিরর কোনো কর্মী ছাটাই করেনি।’
সিলেট মিরর-এর প্রকাশক ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছি। সেবামূলক মনোভাব নিয়ে আমরা সিলেটের শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছি। সিলেটকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য কাজ অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এর আগে দেওয়া বক্তব্যে সিলেট মিরর-এর উপদেষ্টা মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম বলেছেন, ‘সিলেট মিরর পিছিয়ে থাকা মানুষের কথা বলে, সিলেটের উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে এই গণমাধ্যম।’
গণমাধ্যমটির আরেক উপদেষ্টা ফাহিম আহমেদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে গুণীজনদের সম্মাননা জানানো আমাদের কৃষ্টির অংশ। আমরা নতুন প্রজন্ম সে ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আমাদের কৃষ্টি-কালচারের মধ্যে রয়েছে গুরুজনদের সম্মান প্রদর্শন করা। সিলেট মিরর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, এভাবে গুরুজনদের সম্মান জানানো যায়।’
এ বছর জুরি বোর্ডের আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, খ্যাতিমান নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী এবং সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুহ: হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি। তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে চারটি ক্যাটাগরিতে যোগ্যদের নির্বাচন করেন।
এ বছর শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ, সাংবাদিকতায় বর্ষীয়ান সাংবাদিক আব্দুল মালিক চৌধুরী, ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ নাজির আহমদ চৌধুরী (ছোট নাজির) এবং সাহিত্যে ধ্রুব এষ ও আলতাফ শাহনেওয়াজ সিলেট মিরর পুরস্কার পেয়েছেন।
প্ররস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্ববায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক জিয়াউস শামস শাহীন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, কবি তুষার কর, কবি এ কে শেরাম, জেলা শিশু একাডেমির সাবেক কর্মকর্তা মাহবুব জামান চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু, বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, সিলেট ক্লাব লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মুহিতুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন উদ্দিন মন্জু, সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক, সিলেট চলচ্চিত্র সংসদের মুখ্য নির্বাহী এনামুল মুনির, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, বাসদ নেতা প্রণব জ্যেতি পাল প্রমুখ।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের বিবেচনায় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর।
এএফ/০৩