চুনারুঘাটে বিদ্যুৎ বিল আদায়ে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা

চুনারুঘাট সংবাদদাতা


জুন ০৬, ২০২০
১২:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৬, ২০২০
১২:২৩ পূর্বাহ্ন



চুনারুঘাটে বিদ্যুৎ বিল আদায়ে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা না রেখেই হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুনারুঘাট জোনাল অফিস বিদ্যুৎ বিল নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে চুনারুঘাট জোনাল অফিসে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার আশঙ্কাজনক চিত্র। কাউন্টারের সামনে মানুষ গিজগিজ করছিলেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও লেগে ছিল মানুষের ভিড়।

আলাপ করে জানা গেছে, অনেকেই করোনার মধ্যে লকডাউনের কারণে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি। বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের চাপ দেওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে তারা বিল দিতে এসেছেন। লাইনে যেমন ৭০ বছরের বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে ছিলেন, তেমনি ছিলেন শিশু, নারী আর যুবকরাও। সবাই এমনভাবে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলেন, যেন চুনারুঘাটে করোনাভাইরাস নেই! অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো উদ্যোগও নেয়নি চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস। অফিস ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই স্যানিটাইজার। জীবানুনাশক স্প্রেও ছিটানো হয়নি। সামাজিক দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য গোল চিহ্ন দেয়নি বিদ্যুৎ অফিস।

বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা এক গ্রাহক বলেন, একটিমাত্র কাউন্টার হওয়ায় নারী-পুরুষ উভয়ই একদিকে দাঁড়াতে হয়। বিল নেওয়ার ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে বাড়ছে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি। দেখে বোঝা যাচ্ছে, করোনা রোধে এখানে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে এখান থেকে কারোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে কথা হয় হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুনারুঘাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল খাসেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলা হয়, কিন্তু তারা কথা শোনেন না। কোনোভাবেই তাদেরকে বোঝানো যাচ্ছে না। আর অফিসে জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।

 

জেএ/আরআর-০২