খোদেজা বেগম
জুন ০৭, ২০২০
১০:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৭, ২০২০
১০:৫৬ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে জীবন বাঁচার উপায় কী আমরা জানি না। এ সময় জীবনের পাশাপাশি জীবিকার ভাবনাও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। পৃথিবীর সবদেশে এখন এই এক চিন্তা। বিভিন্ন দেশে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো সমাধান আসেনি। ফলে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। মানুষের জীবিকা পড়েছে ঝুঁকির মুখে।
বৈশ্বিক অর্থনীতি, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখন গভীর মন্দায়; কত দিনে তা থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বিভিন্ন দেশে দ্রæত বাড়ছে বেকারত্ব।
বাংলাদেশে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে চলছে লকডাউন; এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত জনজীবন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল স্থবির। মে মাসে কিছু কিছু করে উন্মুক্ত হলেও কবে নাগাদ সবকিছু পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে, তা কেউ জানে না। বলতে গেলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের সরকারও সহায়তার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং কোনো কোনোটির বাস্তবায়নও চলছে।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে সমাজের অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান এসেছে সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য। কিন্তু ডাকের অপেক্ষায় না থেকে সমাজ আগেই এগিয়ে এসেছে যার যেমন সামর্থ্য তাই নিয়ে। প্রতিষ্ঠিত এনজিও, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ সারা দেশের দুস্থদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে সামাজিক সুরক্ষা বা নিরাপত্তা জালের কথা বলতে গেলে অবশ্য দেখা যাবে যে সরকারের ১০০র বেশি কর্মসূচি রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে কোনো বেকারত্ব ভাতা নেই।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও এ ধরনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির জাল আরও বড় আকারে বিস্তার করা উচিত বলে মনে করি। বিশেষ করে যারা পরিবার পরিজন নিয়ে এই সময়ে বেকার হয়ে গেছেন, তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন।
লেখক : শিক্ষক