বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
জুন ০৮, ২০২০
০১:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৮, ২০২০
০১:৪৫ অপরাহ্ন
আপন চাচীর অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় খুন হয় ৩ বছরের শিশু সায়েল আহমদ ওরফে সোহেল। রবিবার (৭ জুন) সকালে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আপন চাচী সুরমা বেগম (৩৮) ও তার পরকিয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম (২৬) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চাচী ও তার পরকিয়া প্রেমিক শিশু সায়েলকে খুনের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তারা পুলিশের কাছে জানায়, রবিবার সকাল ৬টার দিকে সায়েল ও তার ভাই আরিফ আম কুড়াঁনোর জন্য চাচী সুরমা বেগমের বসতঘরের সামনে যায়। আম কুড়াঁনো শেষে সে চাচীর বসতঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে নাহিদুল ও সুরমা বেগমের অনৈতিক মেলামেশা দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন নাহিদুলের নির্দেশে চাচী সুরমা বেগম গাছের ডাল দিয়ে ওই শিশুর মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন চাচী ও তার প্রেমিক ওই শিশুর নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে গোসলখানায় থাকা একটি প্লাষ্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর দিনভর সায়েলকে খোঁজা হলেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। মসজিদের মাইকেও তার খোঁজে প্রচার চালানো হয়। এ সময় চাচী সুরমা বেগম তার বসতঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখাসহ রহস্যজনক আচরণ করতে থাকেন। এতে নিহত শিশুর পিতাসহ এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে তারা চাচীর বসতঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সুরমা বেগমের গোসলখানায় রাখা ড্রামের ভিতর কম্বল দিয়ে মোড়ানো শিশু সায়েলের নিথর দেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত সায়েলের বাবা খসরু মিয়া বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর জানান, মামলা দায়েরের পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে আটক নাহিদুল ইসলাম ও সুরমা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি।
নাহিদুল চারখাই এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে হলেও সে উত্তর আকাখাজনায় তার মামার বাড়িতে থাকে। তার মামার বাড়িতে তার বিরুদ্ধে অনেক অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছ। এবং সে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম নিয়ন্ত্রিত পল্লব গ্রুপের একজন সক্রিয় কর্মী।
এসএ/বিএ-১৭