শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগ : পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকিতে জীবন

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ১২, ২০২০
১১:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১২, ২০২০
১১:১৫ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগ : পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকিতে জীবন

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বন বিভাগের কার্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। দীর্ঘদিন ধরে রেঞ্জ অফিসটির কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেঞ্জ অফিসের সামনে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। অফিসটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও সংস্কার করা হচ্ছে না। এদিকে বাকি ভবনগুলোর অবস্থাও সংকটময়।

রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বে বাহুবলের পুটিজুরী বনবিট ও শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, 'ভাই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। ভবনগুলোর অবস্থা করুণ থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে কী আর করার আছে।'

শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ অফিসের পাশের পুর্ব লেঞ্জাপাড়ার প্রবীণ বাসিন্দা খোরশেদ মিয়া বলেন, 'সরকারি একটি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে কেন? সরকার তো সবদিকেই সুদৃষ্টি দিচ্ছে। আশা করছি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন করে অফিসটির কাজ করা হবে।'

এ ব্যাপারে পৌরসভার কাউন্সিলর মো. নওয়াব আলী বলেন, 'ঠিক কী কারণে রেঞ্জ অফিসটি অবহেলিত আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে সীমানা প্রাচীরসহ একটি সুন্দর রেঞ্জ অফিস করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।'

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, 'আমাদের এ অফিসের সবগুলো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। সবগুলো ভবনকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিত্যক্ত ঘোষণাকৃত ভবনগুলোতেই আমাদের অফিসের কার্যক্রম চলছে। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা। জনবলের সংকট, নিরাপত্তাকর্মী নেই, কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরা নেই।'

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন বলেন, 'এই রেঞ্জ অফিসটি কনস্ট্রাকশনের আওতাধীন আছে। করোনার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। আগামী বছরের প্রথমদিকে হয়তো কাজ শুরু হয়ে যাবে।'

এ বিষয়ে সিলেট রেঞ্জ এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'আমরা নতুন করে ভবন নির্মাণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী বছরের প্রথমদিকে কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি।'

 

এসডি/আরআর-০৩