কাদা আর পানিতে বেহাল শায়েস্তাগঞ্জের রাস্তাঘাট

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জুন ১৪, ২০২০
১২:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৪, ২০২০
১২:৩২ পূর্বাহ্ন



কাদা আর পানিতে বেহাল শায়েস্তাগঞ্জের রাস্তাঘাট

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলোর দশা বেহাল। শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং বাজার, সুরাবই লালচান সড়ক ও উজান শৈলজুড়ার রাস্তাগুলোর অবস্থা বেশ নাজুক।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুতাং বাজারের ভেতরের রাস্তাগুলোতে বৃষ্টি হলেই অনেকে মাছ ধরা শুরু করেন।বিভিন্ন গর্তে খানাখন্দ হয়ে পানি জমাট হয়ে থাকে। হাট-বাজারে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। 

এদিকে নুরপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সুতাং বাজার থেকে পুরাসুন্দা, লাদিয়া, কাজীরগাঁও, নিশাপট, শায়েস্তাগঞ্জ, লালচাঁন সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ও বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যার জন্য যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়।

অন্যদিকে ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের শৈলজুড়া গ্রামের জামে মসজিদ থেকে মাদরাসার গেট পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা জমে যায়। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। বেহাল হওয়া যাতায়াতের এ রাস্তাটি বর্তমানে অন্তত দুই হাজার মানুষের চলাচলের অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কাদাযুক্ত এই রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল ইত্যাদিসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষাকালের ৩/৪ মাস এই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার ফলে চিকিৎসা, ব্যবসা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করতে যাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বিশেষ করে কোমলমতি শিশুরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না করায় এই কাঁচা রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে গভীর কাদা হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। বর্তমানে এই রাস্তায় স্থানভেদে ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা আছে। কোনো গাড়ি তো দূরের কথা, হেঁটে পার হওয়াই মুশকিল। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং প্রাণ কোম্পানির কর্মীসহ গ্রামবাসীকে। এ রাস্তাটিই এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলের যাতায়াতের একমাত্র পথ। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকার দুই হাজার মানুষের কষ্ট দূর হবে। শায়েস্তাগঞ্জের রাস্তাঘাটগুলো মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

সুতাং বাজারের রাস্তাঘাটের বিষয়ে কথা হয় নুরপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিকীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারের অবস্থা খারাপ। আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। রাস্তার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শৈলজুড়া গ্রামের রাস্তার বিষয়ে কথা হয় ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল জজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, শৈলজুড়া গ্রামের রাস্তাটি আমার নজরে আছে। আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলাপ করব।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মিনারুল ইসলাম বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই এলজিইডি'র নতুন স্কিম শুরু হবে। তখন আমরা যেসব রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় আছে, সেগুলোর নাম তালিকায় দিয়ে দেব। আশা করছি শিগগির পুনরায় মেরামত কাজ শুরু হবে।

 

এসডি/আরআর-০৭