রেড জোনে নিজ ঘরে ইবাদত-উপাসনার নির্দেশ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৪, ২০২০
০১:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৪, ২০২০
০১:২৯ পূর্বাহ্ন



রেড জোনে নিজ ঘরে ইবাদত-উপাসনার নির্দেশ

করোনার কারণে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকার জনসাধারণকে ইবাদত-উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ সময়ে সারাদেশে ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন না করে ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার (১৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, শুক্রবার (১২ জুন) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সাধারণ জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত/উপাসনার বিষয়ে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো-

১. ভয়ানক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ব্যতীত অন্য সকল মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

২. উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোনো মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৩. উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

৪. এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

৫. অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।

সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করে নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

এনপি-০২