আলী আহমদ, জগন্নাথপুর
জুন ২১, ২০২০
০৯:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২১, ২০২০
০৯:৩১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দু'টি এলাকা লকডাউন করা হলেও সেখানে অবাধে দিনরাত চলছে যানবাহন। এসব যানবাহনে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার ঝুঁকি আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ জন। এর মধ্যে পৌরসভায় আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ৩৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ৯ জন সুস্থ হয়েছেন। সম্প্রতি জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ১৬ জুন জগন্নাথপুর পৌরসভা ও সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা দিয়ে ১৭ জুন থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নামে স্থানীয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য রেড জোন হিসেবে জগন্নাথপুরের এই দুই এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউন এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে। বিকেল ৪টার পর থেকে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাটসহ পরিবহন বন্ধ থাকবে।
কিন্তু লকডাউন এলাকায় শুধু মিনিবাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের পৌর পয়েন্ট, রানীগঞ্জ রোড, জগন্নাথপুর পশ্চিম বাজার এলাকার ইকড়ছই এলাকা, ইকড়ছই-চিলাউড়া সড়ক, জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে পৌরসভার একাংশ, ডাকবাংলো সড়ক, জগন্নাথপুর-কেশবপুর সড়ক, জগন্নাথপুর-হবিবপুর সড়কসহ পৌরসভার প্রতিটি সড়কে এবং সৈয়দপুর-শাহারপাড়া এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে। এসব এলাকার মধ্যে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের ইকড়ছই, ইকড়ছই মাদরাসা পয়েন্ট, মুক্তিযাদ্ধা মোড়, রানীগঞ্জ রোড এলাকায় অবৈধ শত শত যানবাহনের জট লেগে ছিল। ফলে এসব এলাকায় জনসাধারণের ভিড় সৃষ্টি হয়। এতে করে সামাজিক ও শারীরিক) দুরত্ব মানা যাচ্ছে না।
কয়েকজন চালক জানান, পেটের দায়ে তারা লকডাউনের মধ্যেই যানবাহন নিয়ে বেরিয়েছেন। গাড়ি না চললে সংসার চলবে না।
জগন্নাথপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় জগন্নাথপুরে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। তবে সম্প্রতি জগন্নাথপুরে ৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌরসভায় আক্রান্ত ৩৭ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এছাড়া জগন্নাথপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও ৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জগন্নাথপুরের দু'টি এলাকাকে সম্ভাব্য রেড জোন হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করে তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমাদের নিজেদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে সবাইকে লকডাউন মেনে চলার জন্য আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএ/আরআর-০৭
