দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ০৫, ২০২০
০৪:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৫, ২০২০
০৯:৪৮ অপরাহ্ন



দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল

দেশে নতুন করোনাভাইরাসে প্রথম এক হাজার জনের মৃত্যু ঘটতে লেগেছিল প্রায় তিন মাস, এরপর মাত্র ২৫ দিনের মধ্যেই মৃত্যু ছাড়িয়েছে দুই হাজার।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৫ জনের মৃত্যুতে দেশে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছড়িয়ে এখন ২ হাজার ৫২ জন।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৭৩৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯০৪ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ৬২৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আজ রবিবার (০৪ জুলাই) দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন।

প্রথম মৃত্যুর ৮৪ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেল।

এই হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল ২ মাস ৭ দিন। পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১৬ দিনের মধ্যে। তার পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১২ দিনে।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৫৭ শতাংশ, শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪৪.৭২ শতাংশ।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, আটজন রংপুর বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। ৪১ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। এদের মধ্যে ১ থেকে ১০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩, ষাটোর্ধ্ব ৯, সত্তরোর্ধ্ব ১২ জন।

বিএ-০৬