শায়েস্তাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকে চলছে চিকিৎসা

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জুলাই ০৭, ২০২০
০৮:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৭, ২০২০
০৮:৪৬ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকে চলছে চিকিৎসা

নুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় নুরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত ১ বছর ধরে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন এই ক্লিনিকে সেবাদাতারা।

এই করোনাকালে অত্র এলাকার ৫টি গ্রামের মানুষের ভরসার কেন্দ্র নুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। সেবাদাতারা যেমন ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন, তেমনি যারা সেবা নিচ্ছেন তারাও ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। নুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের আশেপাশে নিজস্ব কোনো বাউন্ডারি নেই। ক্লিনিকের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। ছাদের অবস্থাও খুব খারাপ, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগীরা নানা সেবা নিচ্ছেন। ক্লিনিকের সেবা সম্পর্কে একাধিক রোগী জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকলে স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের অনেক দূরে যেতে হতো। এতে সময় ও অর্থ ব্যয়সহ অন্যান্য দুর্ভোগ বাড়ত।

অনেকেই নানা ধরণের সাধারণ অসুখের চিকিৎসা নিতে ক্লিনিকে আসেন। নূরপুর গ্রামের আরিফ হোসেন খোকন বলেন, 'এই ক্লিনিক থেকে আশপাশের ৫টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছে। অসহায় ও গরিব মানুষের জন্য এই ক্লিনিকটি খুবই উপকারে এসেছে।'

নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ইনচার্জ মোছা. মাহমুদা খাতুন বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মৌসুমী জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানার সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন আমাদের কাছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি তাদের সেবা দেওয়ার। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ক্লিনিকে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'গত এক বছর ধরে বৃষ্টি আর ছাদ ধসে পড়ার ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ক্লিনিকটি মেরামত করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু আজ অবধি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন ও হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমানকে কল দিলেও তারা কেউ কল রিসিভ করেননি।

 

এসডি/আরআর-০৮