খেলা ডেস্ক
জুলাই ১২, ২০২০
০৮:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১২, ২০২০
০৮:২৩ অপরাহ্ন
সৌরভ গাঙ্গুলী কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে নিজেকে ভাবছেন? ক্রিকেটমহলে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু, স্বয়ং সৌরভের কাছেও এর উত্তর নেই। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি
কিন্তু বোর্ড প্রেসিডেন্ট তো সৌরভ নিজেই। আর ডেভিড গাওয়ার, গ্রেম স্মিথের মতো প্রাক্তনরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সৌরভের নেতৃত্ব গুণের। বিশ্বক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায় তাঁরা সৌরভকে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। সৌরভ যদিও সরলীকরণ করছেন না পরিস্থিতি। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন, “আমিও জানি না কী হবে। এই ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। আর আইসিসিতে পরিস্থিতি আগের মতো নেই, অনেক পাল্টেছে। আইসিসি-তে স্বাধীন চেয়ারম্যান হতে গেলে নিজের দেশের বোর্ডের কোনও পদে থাকা চলবে না। আগে কিন্তু এমন ছিল না। আগে দুটো পদেই থাকা যেত। আর নিয়মের এই বদল কিন্তু বোর্ডে হয়নি, আইসিসি-তে হয়েছে।”
ব্যাখ্যা করে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, “বর্তমানে বিসিসিআই সংবিধান অনুসারে বোর্ডে একটাই পদে থাকা যাবে। বোর্ডে কখনই দুটো পদে থাকা যাবে না। কিন্তু, বোর্ডের বাইরে অন্য পদে থাকা যাবে। মানে বোর্ডের পদে থাকার পরও আইসিসি বা এসিসি-তে থাকা যাবে। সমস্যা হল, আইসিসিতে আবার দুটো পদে থাকার নিয়ম নেই।” অর্থাৎ, আইসিসি চেয়ারম্যানকে অন্য কোনও পদে থাকা চলবে না। মানে আইসিসি চেয়ারম্যান হতে গেলে সৌরভকে বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হবে।
সৌরভ অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য তাঁর কোনও ব্যস্ততা নেই। তিনি বলেছেন, “আমি জানি না এই পর্যায়ে বিসিসিআই ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কি না। বা, এখন আমাকে বিসিসিআই ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। এটাই এখন অবস্থা। তবে আমার কোনও ব্যস্ততা নেই। আমার বয়স বেশি না। আর এই কাজটা তো চিরকাল করে যাওয়া যায় না। এগুলো সাম্মানিক কাজ। যা জীবদ্দশায় এক বারই করা চলে। অন্য সব দুর্দান্ত প্রশাসকদের দিকে তাকালেও দেখা যাবে যে, সবাই একটা একটা করেই মেয়াদ পেয়েছেন।”
তবে সৌরভ পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে খেলার ফলে অন্য প্রশাসকদের থেকে তাঁর সুবিধা বেশি। ভারতের সেরা অধিনায়কদের অন্যতম সৌরভের কথায়, “খেলাধূলার ক্ষেত্রে বাকিদের থেকে আমার বেশি জানারই কথা। কারণ, সারা জীবন খেলেই কাটিয়েছি। আর সেটাই বাস্তব। আর আইসিসি বা এসিসি, যেখানেই যাই না কেন, আসল হল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করা। সেই কারণেই সিদ্ধান্তটা সবার মধ্যে থেকে আসতে হবে।”
এএন/০৬