সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ১৩, ২০২০
১০:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২০
১১:০০ অপরাহ্ন
প্রশান্ত মহসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউয়ে বসবাসকারী ২৪ হাজার মানুষের মধ্যে দুই হাজারই বাংলাদেশি। আজ সোমবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও পালাউ-এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত একটি চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের কথা জানানোর সময় এই তথ্য জানান। ভার্চুয়াল এই সভায় গণভবনে থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; বিভিন্ন মন্ত্রৗ ও সচিবরা গণভবনে থেকে যুক্ত হন।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দ্বীপ পালাউ, যার আয়তন ৪৬৬ বর্গকিলোমিটার। জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তায় এটা চলে। জাপানের টোকিও-তে বাংলাদেশ দূতাবাস এখন পালাউয়ের বিষয়গুলো দেখভাল করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জাপানের টোকিও-তে বাংলাদেশ দূতাবাস এখন পালাউয়ের বিষয়গুলো দেখভাল করলেও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় তাতে সমস্যা হয়।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারণে পালাউ-এ গিয়ে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে টোকিও মিশন অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।” তিনি বলেন, ‘ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো পালাউ-এর জনসংখ্যা ২২ থেকে ২৪ হাজার। তার মধ্যে দুই হাজার বাংলাদেশি সেখানে কাজ করেন। বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ সুপারি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। সেখানে সুপারি অনেক জনপ্রিয় আইটেম, পথেঘাটে মুড়ি, চা খাওয়ার মতো ওখানকার লোকজন দোকানে কাঁচা সুপারি খায়। এই কাজে বাংলাদেশিরা বেশি ইনভল্ব। “এছাড়া সার্ফিংয়ের কাজেও বাংলাদেশিরা ইনভল্ব। সার্ফিং তাদের একটা বড় আয়ের উৎস।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বাংলাদেশ ও পালাউ গত বছরের ১৬ জুলাই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। “দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তিটি অনুসমর্থন করা প্রয়োজন। চুক্তিটি অনুসমর্থন করা হলে এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে।”
এনপি-০১
