শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই ১৯, ২০২০
০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৯, ২০২০
০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পা হারিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা র্বান ও প্লাষ্টিক র্সাজারী ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে স্কুলছাত্রী নদী আক্তার (১০)। উন্নত চিকিৎসার অভাবে দিন দিন অবনতি হচ্ছে তার শারীরীক অবস্থা। যে কোন সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে এমন শঙ্কায় রয়েছেন তার অভিবাবকরা। আর্থিক সংকটে কোনরকমে চলছে তার চিকিৎসা সেবা।
অন্যদিকে জায়গা জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এখন দিশেহারা তার বাবা রফিক মিয়া। বর্তমানে ওই স্কুল ছাত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তনি। মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঘুরছেন আত্মীয় সজনের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
গত ১৫ মে সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে নদী আক্তার র্পাশ্বর্বতী স্থানীয় আল মদিনা আবাসিক হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুন এর বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় সে বিদ্যুৎ এর মেইন লাইন থেকে টানা অবৈধভাবে ওই বাসার ছাদে ফেলে রাখা তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগিঞ্জ সদর হাসপাতালে র্ভতি করলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৭মে ঢাকা শেখ হাসিনা র্বাণ ও প্লাষ্টিক র্সাজারী ইনস্টিটিউটে র্ভতি করা হয়। পরে ৪ জুন তার দুটি পা কেটে ফেলা হয়। র্দীঘদিন তার চিকিৎসার আর্থিক জোগান দিয়ে বর্তমানে অসহায় বোধ করছেন তার বাবা রফিক মিয়া। জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনরে কাছ থেকে ধার-দেনা করে তার চিকিৎসার প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন দিশেহারা। দরিদ্র বাবার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়-ভার আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার অভাবে নদী এখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এসডি/বিএ-০৯