নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ০৬, ২০২০
০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৬, ২০২০
০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মেয়ে ও জামাতার অনৈতিক মেলামেশা দেখে ফেলার জেরে ছলেমা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়ে ও জামাতাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব চলে যান। এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শ্যালিকা শান্তি বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ছলেমা বেগম জেনে যান।
পুলিশ সুপার বলেন, মোগলের স্ত্রী সৌদি আরব থাকেন। মোগল তার শিশুছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। এ সুযোগে মোগল তার শ্যালিকা শান্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ছালেমা তাদের নিষেধ করলেও তারা সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১ অগাস্ট রাতে তাদের মেলামেশা করতে দেখে ছালেমা চিৎকার করেন। এর জেরে মোগল ও শান্তি দুইজন মিলে ছলেমার মুখ চেপে ধরে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে যান এবং শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তিনি জানান তার মাকে ডাকাতদল গলা কেটে হত্যা করেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিএ-০৩