রাতে বায়ার্ন-পিএসজির শিরোপা লড়াই

খেলা ডেস্ক


আগস্ট ২৪, ২০২০
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২০
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন



রাতে বায়ার্ন-পিএসজির শিরোপা লড়াই

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা লড়াই আজ রাতে। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় পর্তুগালের লিসবনে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেই নেইমার, এমবাপ্পেদের নিয়ে রূপকথা লেখার প্রহর গুনছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি শিরোপা জেতা বায়ার্ন ১০ বার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ।

পিএসজিকে সেখানে শিক্ষানবিশই বলা যায়। তবে ২০১১ সালে কাতারি মালিকানায় আসার পর দলে তারার হাট বসিয়ে ফরাসি ফুটবলে একাধিপত্য বিস্তার করা পিএসজিকে আন্ডারডগ ভাবার সুযোগ নেই। অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও তেজদ্বীপ্ত দলটিকে পরিপূর্ণ প্যাকেজ বলা যায়।

এ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের তিনটি শিরোপাই ঘরে তুলেছে পিএসজি। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এবার ইউরোপ জয়ের চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর আবারও ট্রেবল জয়ের শেষ ধাপে বায়ার্ন। ঘরোয়া ডাবল জিতেছে তারা দাপটের সঙ্গে।

১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে এমন দুই দল, যারা প্রতিযোগিতাটিতে এসেছিল নিজেদের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে। 

পিএসজির আক্রমণের মূল দায়িত্বে থাকছেন যথারীতি ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমার। সঙ্গে আছেন বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ ছন্দে আছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। শেষ চারে গোল করে ও করিয়ে লিপজিগের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ের নায়ক তিনিই।

শেষ চারে লিওঁর গতিময় আক্রমণে বায়ার্নের রক্ষণের দুর্বলতা বারবার ফুটে উঠেছে। ফাইনালেও এই দশা থাকলে নেইমার-এমবাপ্পেদের বিপক্ষে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের।

দলটির কোচ হ্যান্স ফ্লিক তাই সতর্ক, ‘পিএসজি দুর্দান্ত দল। আমরা জানি তাদের দ্রুতগতির খেলোয়াড় আছে। আমরা আমাদের রক্ষণকে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করব, তবে আমরা জানি আমাদের বড় শক্তি প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা।’ স্বপ্নের মতো মৌসুম কাটছে বায়ার্নের রবার্ট লেওয়ানডোস্কির। এখন পর্যন্ত আসরে করেছেন সর্বোচ্চ ১৫ গোল।

চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই পোলিশ স্ট্রাইকারের গোল ৫৫টি। লেওয়ানডোস্কি, টমাস মুলার ও লিওঁর বিপক্ষে জোড়া গোল করা সার্জ নাব্রির সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে পিএসজির রক্ষণকে।

টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে দুই দলের ডাগআউটে থাকছেন দুই জার্মান কোচ। সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ টুখেল ২০১৮ সালে পিএসজির দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দলে পরিণত করেছেন ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। অন্যদিকে ফ্লিক বায়ার্নের দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র গত নভেম্বরে। তবে দলে প্রভাব রেখেছেন দারুণভাবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত বায়ার্ন জিতেছে ২৮টি, অন্যটি হয়েছে ড্র। এই সময়ে দলটি গোল করেছে ৯৭টি আর হজম করেছে মাত্র ২২টি। কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে

৮-২ গোলে উড়িয়ে দেয়া বায়ার্ন অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে থাকবে। ইউরোপসেরার প্রতিযোগিতায় এরই মধ্যে তারা ফাইনাল খেলেছে ১০টি। আর পিএসজি এর আগে সেমিফাইনাল খেলেছে মাত্র একবার। ইউরোপে তাদের সেরা সাফল্য ১৯৯৬ সালের কাপ উইনার্স কাপ জয়।

তবে গত নয় বছরে দল ঢেলে সাজাতে ১.৩ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা পিএসজি এবার সেই বিশাল বিনিয়োগের ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া। গত দুই মৌসুমে নেইমারের চোটে ভেঙেছিল তাদের স্বপ্ন। এবার নেইমার আছেন স্বপ্নের ফর্মে।

এএন/০১