শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ
সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
১১:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
১১:০৬ অপরাহ্ন
নামে পাকা সড়ক হলেও বেশ কয়েকবছর আগেই পাকার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। সড়কটির দৃশ্যমান অবস্থা দেখে এখন এটিকে মাটির সড়ক বললেও ভুল হবে না। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় এভাবেই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ ইউনিয়নের আদিত্যপুর-রিফাতপুর-গহরমলী সড়কটি। সড়কের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি কাদা-জলে একাকার হয়ে গেছে। ভগ্নদশায় নিমজ্জিত এই সড়কে চলাচলকারী ১০টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের আদিত্যপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়কটি সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। ২০০৪ সালের প্রথমদিকে আদিত্যপুর মোড় থেকে রিফাতপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়েছিল। রাস্তাটি পাকাকরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসা ওইবছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। কিন্তু রাস্তাটি পাকাকরণের পর এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সংস্কারকাজ করা হয়নি। যোগাযোগ অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০১৭-১৮ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে রাস্তার পিচ করা অংশে ইটের কংক্রিট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০১৪-১৫ সালের দিকে রিফাতপুর জামে মসজিদ থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এবং সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক থেকে চরসুবিয়া গ্রাম পর্যন্ত আরও প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়েছিল। পাকাকরণেরে পর সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে পুরো সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সড়কের সংস্কারকাজ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে রাস্তার মধ্য অংশে চরসুবিয়া গ্রাম থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় এখনও পাকাকরণের কাজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এই এলাকার লোকজন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিফাতপুর, দক্ষিণ রিফাতপুর, চড় হাড়িয়া, চরসুবিয়া, মানন, গহরমলি, রহমতপুর, কোষারগাঁওসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের এই সড়ক চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোশাহীদ আলী ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে গতবছর শুকনো মৌসুমে এই সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেন। ওই মাটি ভরাটের কাজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস আর এম জি কিবরিয়া বলেন, 'এই সড়কের সংস্কারকাজের জন্য অনুমোদিত প্রকল্পে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডার ড্রপ করেনি। সংস্কারকাজে পর্যাপ্ত চাহিদার কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে আরেকটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।'
এসএ/আরআর-০২