শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১২:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১২:০৫ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত স্কুলছাত্রী নদী আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজল উদ্দিন তালুকদার। বিগত প্রায় ৫ মাস ধরে দুই পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে নদী।
গতকাল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফজল উদ্দিন তালুকদার বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় আহত শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নদী আক্তারকে দেখতে তার বাড়িতে যান। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। পরে তার হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। পরিশেষে শায়েস্তাগঞ্জের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলকে নদী আক্তারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান এই যুবলীগ নেতা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামীয়া একাডেমির ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের রফিক মিয়া কন্যা নদী আক্তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা স্থানীয় আল মদিনা আবাসিক হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুনের বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় সে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে অবৈধভাবে টেনে আনা ওই বাসার ছাদে ফেলে রাখা তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৭ মে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়। পড়ে ৪ জুন তার দু'টি পা কেটে ফেলা হয়। দীর্ঘদিন তার চিকিৎসার আর্থিক যোগান দিয়ে বর্তমানে অসহায় বোধ করছেন তার পিতা রফিক মিয়া। সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে মেয়ের চিকিৎসায় প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন দিশেহারা। দরিদ্র পিতার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার অভাবে নদী এখন প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এসডি/আরআর-০৫