রিমান্ড শেষে আদালতে সাইফুর, রবিউল ও অর্জুন

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ০২, ২০২০
০৩:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০২, ২০২০
০৩:১১ অপরাহ্ন



রিমান্ড শেষে আদালতে সাইফুর, রবিউল ও অর্জুন
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ধর্ষক সাইফুর, রবিউল ও অর্জুন

ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচদিনের রিমাণ্ডে থাকা এজহারভুক্ত তিন আসামি সাইফুর, রবিউল ও অর্জুনকে আদালতে তোলা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশ।

পরে তাদেরকে সিলেট মহানগর হাকিম ১ আদালতে হাজির করা হয় বলে নিশ্চিত করেন, সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য ভূষণ চৌধুরী।

এর আগে ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত ২ নং আসামি সাইফুর রহমান ও ৪ নং আসামি অর্জুন লস্কর গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এবং একইদিন বিকেলে মামলার ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেদিন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।

এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ, আইন উদ্দিন ও প্রধান ও ১ নং আসামি মুহিবুর রহমান রনি, ৩ নং আসামি তারেক ও ৬ নং আসামি মাহফুজুর রহমান মাছুমও রিমান্ডে রয়েছেন।

তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ, আইনু উদ্দিন ও প্রধান ও ১ নং আসামি মুহিবুর রহমান রনির রিমান্ডের মেয়াদ আগামীকাল শনিবার শেষ হবে। রিমান্ড শেষে তাদেরও আদালতে তোলার কথা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

এএফ/০৩