সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১২, ২০২০
০৯:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০২০
০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সিলেটে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যাহার আরও তিন পুলিশ সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার।
গতকাল রবিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আশেক ই এলাহী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হান হাসপাতালে মারা যান। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাতের নখও উপড়ানো ছিল।
রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাসের এক মেয়ে রয়েছে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতো সে।
রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সে ছিনতাইকারী ছিল। নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পরিবার পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করে ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তুলেন। এরপর পুলিশও আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, রবিবার দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার স্বামীকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা দাবি ও দাবিকৃত টাকা না পেয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন।
এনএইচ/এএফ-০১