জৈন্তাপুরে বোরো বাঁধ পরিদর্শনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


অক্টোবর ১৩, ২০২০
০১:১৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২০
০১:১৯ পূর্বাহ্ন



জৈন্তাপুরে বোরো বাঁধ পরিদর্শনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে তাদের ৫শ একর নিজস্ব ভূমি আফনিরবন ও হিংগুড়িরকোনা এলাকায় বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বোরো বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নুরুল হক নামের এক ব্যক্তি বাঁধের কারণে পানি আটকে তার আমন ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মর্মে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরির্দশনের নির্দেশ দেন জৈন্তাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে। জেলা কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশে আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান জৈন্তাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ, ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হানিফ আলীসহ কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরিদর্শনকালে কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ছোটারী সেনগ্রামের ৭৩টি পরিবারের সদস্যরা একটি বাঁধের অভাবে বোরো আবাদের জায়গাটি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে পারছিলেন না। ফলে জায়গাটি অনাবাদি অবস্থায় ছিল। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ৭৩টি কৃষক পরিবার নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে জায়গাটি বোরো ধান রোপনের আওতায় নিয়ে আসে। ফাল্লী বিলের ইজারাদার কর্তৃক পূর্বপরিকল্পনাপূর্বক কৃষকদের কাজে বাঁধ হয়েছে।

তারা আরও জানান, অভিযোগকারীর বোরো বাঁধের ভেতরে মাত্র ৩৩ শতক এবং আরেক ব্যক্তির ৩৬ শতক ভূমি এবং ছোটারী সেনগ্রামের ৬ বিঘা জমি রয়েছে, যা বোরো ধান চাষযোগ্য ভূমি। বৃহত্তর জৈন্তাপুরে স্বউদ্যোগে এই প্রথমবার বিশাল জায়গাজুড়ে বোরো ধান চাষাবাদ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন মাঠ পরিদর্শন শেষে সিলেট মিররকে বলেন, নিজ উদ্যোগে ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা উপজেলার কৃষি বিভাগে বোরো ধানের চাষকে একধাপ এগিয়ে নেবে। এলাকাটি আমন ফসলী নয়, প্রকৃত অর্থে বোরো ফসলের এরিয়া। উভয়পক্ষকে ভূমির কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বোরো ধানের জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস এই সংগঠনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে বাকি এলাকাগুলো বোরো ধান চাষের আওতায় চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

এ সময় কৃষকদের কাজে ছায়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পরিদর্শনকালে বৃক্ষের চারা রোপন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন।

 

আরকে/আরআর-১০