তাহিরপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

তাহিরপুর প্রতিনিধি


অক্টোবর ১৪, ২০২০
১২:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০২০
০৫:৩৯ অপরাহ্ন



তাহিরপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক তরুণীকে (১৮) ধষর্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে অভিযুক্ত ধর্ষক মোতালিব (৪২) ৪ সন্তানের জনক। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত আড়াইটা সময় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম আদর্শ গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ধর্ষক উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামের ইছব আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার তরুণীও একই এলাকার বাসিন্দা।

কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহারাম আদর্শ গ্রামের দিনমজুরের তরুণী মেয়ে তার নিজ বসত ঘরে এক বছর আগে একটি ছোট মুদির দোকান দেয়। এর সুবাদে মাহারাম চকবাজারের মোতালিবের দোকান থেকে পাইকারি মুদি মাল কিনে আনত। এই সুবাদে মোতালিব তরুণীর বাড়িতেও আসা যাওয়া করতো। গত ৫/৬মাস যাবত ওই দিনমজুর তরুণীকে মোবাইলে ফোন করে তাকে বিয়ে করবে এবং ৪০ হাজার টাকা দেবে এমন বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই তরুণী রাজি না হয়ে মোতালিবকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। এতে মোতালিব ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এরই জের ধরে সোমবার রাত আড়াইটার সময় বাড়িতে গিয়ে ঘরের বেড়া ভেঙে ঘরে ডুকে মুখ বেধে জোরপূর্বক তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন আসলে মোতালিব দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতা তরুণী জানান, সকাল থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে, স্থানীয় ভাবে এই ঘটনা শেষ করার জন্য। কিন্তু আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকাবাসী জানান, ১০/১২ বছর আগে মোতালিবের প্রথম স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে সে আবার ২য় বিয়ে করে এখন ৪ সন্তানের জনক। গত রাত ২টা সময় মেয়েটির ঘরে চেঁচামেচি শোনেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

এদিকে ধর্ষকের পরিবার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনাটি জানাজানির পর একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় বিচার শালিসে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালচ্ছে।ভুক্তভোগীর পরিবার যেন আইনি সহায়তা না নিতে পারে তাই সকাল থেকেই তাদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর। এঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক মোতালিব পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, বিষয়টি আমাকে গ্রামের অনেকেই ফোনে জানিয়েছে। বিষয়টি সত্য।

এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এবং কেউ এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিএ-০৪