নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৫, ২০২০
০৩:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২০
০৩:৫৫ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর গণ্যে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের নির্যাতিতা নারী বলেন, তিনি গত ৮ অক্টোবর বিকালে রিকশাযোগে শেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পারকুল গ্রামের মেম্বার দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে আসামাত্র আসামিরা তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিযোগে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাত স্থানে তিন দিন আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চার দিন পর আসামিরা স্থানীয় আউশকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ওই নারীর স্বামী মুহিবুর রহমান এসে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন (৫০) ও তার পরিষদের সদস্য দুলাল আহমদ (৪০), সেবুল মিয়া (২৮), সহিদুল মিয়া (২৫), জিবু মিয়াসহ (২৭) অজ্ঞাত তিনজন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবিগঞ্জ জেলা দায়রা ও জেলা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী গত ১৮ অক্টোবর দরখাস্তকারীর দরখাস্ত ও জবানবন্দি পর্যালোচনা করে নির্দেশ দেন এবং নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলার এফআইআর করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও তিন কার্য দিবসের মধ্যে মামলা রজু করে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
বাদীর স্বামী অভিযোগ করেন, মামলার সাক্ষীদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করে হুমকি দিচ্ছে ও তাকে মামলা তোলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি শুনেছি একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমি কিছুই জানি না।
ইউপি সদস্য দুলাল আহমদ বলেন, এরকম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি আদালতের আদেশে প্রক্রিয়াধীন আছে। আজ রাতেই এফআইআর গণ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএম/বিএ-১৫