চুনারুঘাট সংবাদদাতা
অক্টোবর ২৭, ২০২০
০২:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৭, ২০২০
০২:৩৯ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর, আহম্মদাবাদ, দেওরগাছ ও চা-বাগানসহ প্রায় সব এলাকায় পাখি শিকারীরা নির্বিচারে নানারকমের পাখি শিকার করে আসছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার বা চিহ্নিত স্পটে নিয়ে হাঁক দিয়ে দেদারছে এসব পাখি বিক্রি করছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।
মূলত এ অঞ্চলে প্রতিবছর শীত মৌসুম শুরুর আগেই আসতে থাকে এসব অতিথি পাখিসহ নানা প্রজাতির দেশি পাখি। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাখিগুলো। অনেক জমিতে অল্প পরিমাণে পানি থাকায় দুই-একটি মাছও আছে। তাই মাছ খাওয়ার লোভে অতিথি ও দেশীয় প্রজাতির পাখিরা বিভিন্ন খাল-বিলে ভিড় জমায়। এই সুযোগে কিছু লোভী শিকারী জাল, দানাদার বিষসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে আসছে প্রতিদিন।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর ও চণ্ডিছড়া চা-বাগান এলাকা থেকে ১৩২টি জবাই করা অতিথি পাখিসহ তিন শিকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ। পাখিগুলো শিকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমতলী এলাকা থেকে বন বিভাগের লোকজন এগুলো আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র পাল বন্যপ্রাণী আইনে (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) ২০১২-এর ৩৮ (১) ধারায় তিনজনকে তিনমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার বালিয়ারী গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে রুকু মিয়া (৪৮), একই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে কাইয়ুম (৪৬) ও একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আল আমিন (২৬)। উদ্ধার করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শালিক, কাঠঠোকরা, বুলবুল, দোয়েল, ভিমরাজ ইত্যাদি। এসব পাখি শিকারের পর জবাই করে কলসে ভরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল শিকারীরা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে পাখিগুলো গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাস বলেন, 'শীতের মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসছে। কোনোভাবেই এদের শিকার কিংবা ধরা যাবে না। পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
সাতছড়ি বন বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, 'পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
জেএ/আরআর-১১