গুমের মামলা দিয়ে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৮, ২০২০
০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০২০
০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন



গুমের মামলা দিয়ে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

পাওনা টাকা ও ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আলাদতে মামলা করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এক প্রবাসী। টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অপকৌশল হিসেবে প্রতিপক্ষের লোকজন ‘মিথ্যা’ গুমের মামলা দিয়ে প্রবাসী তিন ভাইকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের সিকন্দর (মাইজগাঁও) গ্রামের মৃত ছিফত উল্যার ছেলে জমশেদ আলী ওরফে লেফাস মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লেফাস মিয়া বলেন, ‘ওসমানীনগর উপজেলাধীন আব্দুল্লাপুর (পূর্ব কালনিচর) গ্রামের ছিদ্দেক আলীর ছেলে রানু মিয়া ও জানু মিয়া আমার আপন চাচাতো ভাই। ওসমানীনগর উপজেলার সম্মানপুর মৌজার জেএলনং-৩০, ভিন্ন-ভিন্ন খতিয়ানে আমি ও আমার চাচাতো ভাইদের যৌথ মালিকানাধীন ১০.৫০ কেদার ভূমি রয়েছে। ৭ বছর আগে চাচাতো ভাই ও আমার যৌথ সম্পত্তির অংশ আপসে ভাগ-বাটোয়ারা করে একটি ফিশারি করার উদ্যোগ নেই। ওই সময় ফিশারি করার জন্য তাদের ভূমির অংশ আমার কাছে বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা হারে মৌখিক ইজারা দেন। আর আমার তৈরি করা ফিশারিতে তারা (রানু-জানু) মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা হয়। আমি ফিশারি এলাকা থেকে দূরে বসবাস করায় সরল মনে তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। ২০১৩ সালে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফিশারির জন্য পুকুর খনন করে ২০১৪ সালে মাছের পোনাসহ আরও প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করি। পরবর্তী সময়ে আমি অসুস্থ হয়ে যাই। এই সুযোগে রানু ও জানু স্থানীয় স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ মদদে গত ৩ বছর ফিশারিতে বিনিযোগ করা ব্যবসার কোনো হিসাব না দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্যদের বিষয়টি অবহিত করলে রানু ও জানু হিসেব বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। ২০১৯ সালে নতুন করে ফিশারিতে আরও ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘রানু ও জানু আমাকে টাকার হিসেব ও টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব করলে বিষয়টি মুরব্বিদের জানালে রানু-জানুরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তাদের সহযোগী মফিজুর ও ইবরুর নেতৃত্বে চলতি বছরের ১৪ মে আমার মালিকানাধীন ৯০ শতক ভূমির পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যান। এতে আমার ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর আগে তারা আমার বাড়িতে থাকা মূল্যবান গাছও কেটে নেন।’

এসব ঘটনায় রানু, জানুসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করার পর তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েও পুলিশ এফআইআর না করে নন এফআইআর প্রসিকিউসন করেছে বলে অভিযোগ করেন লেফাস মিয়া। এ সময় রানু, জানু ও তাদের সহযোগীরা ফিশারির দায়িত্বে থাকা কর্মচারিদের রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি। 

বিএ-০৩