ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন নুরুল

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৫, ২০২০
০১:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২০
০১:১৫ পূর্বাহ্ন



ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন নুরুল
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি নুরুল করিম ট্রাস্টের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন অভিযোগ করেছেন ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সানাওয়ার চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে ড. সানাওয়ার চৌধুরী বলেন, ‘শেকড়ের টানে গঠিত জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট জগন্নাথপুর উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে।  উপজেলার শিক্ষার প্রসারে সংগঠনটি বিগত ২০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করে চলেছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বহিষ্কৃত ট্রাস্টি নুরুল করিম। ২০১৫ সালে তিনি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যা পরবর্তীতে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাস্ট তাকে বহিষ্কার করে।’

সানাওয়ার চৌধুরী বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার থেকে জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা পায়নি। পেয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা এক্সিম ব্যাংক জগন্নাথপুর শাখায় জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের একাউন্টে জমা হয়েছিল। এই টাকা রিসোর্স সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে যার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। রিসোর্স সেন্টার নির্মাণের কাজ স্থানীয় নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তদারকি করা হয়।’

ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে নুরুল করিমের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে সানাওয়ার বলেন, ‘হাসনাত আহমদ চুনু ৪ শতাংশ ভূমি ট্রাস্টে দান করেছেন এবং অবশিষ্ট ১০ শতাংশ ভ‚মি ট্রাস্ট এবং ট্রাস্টি আনোয়ার আলী, মুজিবুর রহমান মুজিব এবং এম হোসেনের মাধ্যমে যৌথভাবে ক্রয় করা হয়েছে।’ সংগঠনের ৫ ট্রাস্টি ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা ঋণ তুলেছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে সানাওয়ার বলেন, ‘এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ ২০১০ সালে জগন্নাথপুর ব্রিটিশ-বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি ছিলেন এস আই আজাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জুনেদ আহমদ এবং ট্রেজারার ছিলেন আব্দুস শহীদ। এ বছর বাংলাদেশে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ২৫ লাখ টাকা বৃত্তি বিতরণ বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন নুরুল করিম। সৌভাগ্যবশত ১০ থেকে ১৫ জন ট্রাস্টি এ সময় দেশে অবস্থান করায় জরুরি মিটিং করে রেজুলেশন নিয়ে তার হীন চেষ্টাকে ব্যর্থ করে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সফলভাবে প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃত্তি অনুষ্ঠান বানচালের জন্য নুরুল করিমের সাথে জেবিবিইটির সিলেক্টেড কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হালিম জড়িত থাকায় ট্রাস্টের ইসি কমিটি তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।’ আব্দুল হালিম ও নুরুল করিম সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। মূলত বহিষ্কার হওয়ায় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে নুরুল করিম ও আব্দুল হালিম ট্রাস্টের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন এমন অভিযোগ করে সানাওয়ার বলেন, ‘নুরুল করিম নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যবসার মালিক ছিলেন। তিনি ভিন্নরূপে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বর্তমানে লন্ডন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

বিএ-০৩