ধর্মপাশায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৫, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার একটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের এক নারী (২৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ নভেম্বর গভীর রাতে ওই নারীর বসতঘরের ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে  উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধুবালা গ্রামের বাসিন্দা রোকন মিয়াকে (৩০) আসামি করে থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ধর্মপাশা থানার পুলিশ, এলাকাবাসী ও অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধুবালা গ্রামের মো. রোকন মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারির স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলেন। এই উত্যক্তের ঘটনা নিয়ে ওই নারী স্থানীয় এক মাতব্বরের কাছে  রোকন মিয়ার বিরুদ্ধে নালিশ দেন। এতে রোকন চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। নালিশ দেওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখানোসহ ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই এতে সায় দিচ্ছিলেন না।

গত ১৭ নভেম্বর রাত ১টার দিকে ওই নারী প্র্কৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার সন্তানসহ ঘরের বাইরে যান। তখন দরজা খোলা দেখে ওই নারীর বসতঘরে ঢুকে এক কোনে লুকিয়ে পড়েন রোকন। এ অবস্থায় থেকে ঘন্টাখানেক পর ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন রোকন। তখন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রোকনকে চিনে ফেলেন ওই নারী। তিনি রোকনকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু এতে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে রোকন ওই নারীকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখানোসহ তাকে কিল-ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে ওই নারীর মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করেন রোকন। মুখ থেকে ওড়না খুলে পড়ায় চিৎকার দেন ওই নারী। এ সময় রোকন সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও ওই বসতঘরে তার একটি ফুলহাতা গেঞ্জি ফেলে রেখে যান।

অভিযোগকারী নারী বলেন, 'আমরা খুবই গরিব। আমার স্বামী দিনমজুরি করে সংসার চালায়। আমার তিনটি সন্তান আছে। রোকনের দেওয়া বিভিন্ন প্রলোভন ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে ধর্ষণ ও মারধর করেছে। আমি ঘটনার পরদিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ সংক্রান্ত কাগজ আমার কাছে রয়েছে।'

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রোকন মিয়ার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-০৭