সুনামগঞ্জে নারী নির্যাতনকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৮, ২০২০
১০:৩১ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২০
১২:১০ পূর্বাহ্ন



সুনামগঞ্জে নারী নির্যাতনকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার এক হতদরিদ্র দিনমজুর কৃষি শ্রমিকের স্ত্রীকে বার বার ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের বিচার না পেয়ে সুনামগঞ্জ শহীদ মিনারে শিশুসন্তান নিয়ে মানববন্ধন করেছেন এক অসহায় স্বামী। এসময় ওই দিনমজুর তার বৃদ্ধা মা ও দুই শিশুকে নিয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের বুকফাটা কান্নায় শহীদ মিনারে উপস্থিত সাংবাদিকরাও ভারাক্রান্ত হন।

আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ২টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারী নির্যাতনকারী বখাটে ও সহযোগী পুলিশের বিচার দাবি করে অসহায় পরিবারটি। মানববন্ধনে নির্যাতিত নারী, তার স্বামী অজিত দাস, দুই শিশুসন্তান অনামিকা দাস, অনয় দাস ও অজিত দাসের মা বেলা রাণী দাস উপস্থিত ছিলেন। 

পারিবারিক উদ্যোগে এই মানববন্ধন চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী অজিত দাস জানান, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মধু দাসের ছেলে প্রজেশ দাস তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বাড়ি থেকে বের হলেই তার স্ত্রীকে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন তিনি। গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে মদ খেয়ে তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন প্রজেশ। এ ঘটনায় দিনমজুরের স্ত্রী শাল্লায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। গত ২১ নভেম্বর রাতে আবারও ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান প্রজেশ। এসময় ওই নারী ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি জেগে ওঠে চিৎকার দিলে প্রজেশ দাস পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২২ নভেম্বর আবারও থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান ওই নারী। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর একবার তার স্ত্রীকে রাতে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রজেশ দাস। 

দিনমজুর অজিত দাস জানান, সর্বশেষ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে যান শাল্লা থানা পুলিশের এসআই সেলিম মিয়া। তিনি তদন্তে গিয়ে তাকে আপসের কথা বলে যান। কিন্তু তিনি আপস না মেনে আইনি বিচার দাবি করেন। পরে তার বাবা, মা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে থানায় যান অজিত দাস। সেখানে ওসির সামনেই তাদের গালাগাল করেন এসআই সেলিম মিয়া। এভাবে মামলা না নিয়ে পুলিশ সময়ক্ষেপন করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় মামলা নেওয়া হয়নি। তবে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলাম। এর আগেই তিনি সুনামগঞ্জে গিয়ে মানববন্ধন করেছেন।'

 

এসএস/বিএন-০৪/আরআর-০৩