জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সিলেটের জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদরাসায় ১৯৮৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফাজিল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) মাদরাসার হলরুমে মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আল্লামা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক রফিকুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভী মাওলানা মো. কায়েস মাহমুদ চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইছামতি দারুল উলুম কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা মো. হবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমী ও সিলেট প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী। মাদরাসার গভর্নিং বডির পক্ষে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক ও সাবেক শিক্ষকবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুশাহিদ আহমদ কামালী।
এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রহিম, হবিবপুর-কেশবপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল হাকিম, জকিগঞ্জ উপজেলা আনজুমানে আল ইসলাহ'র সভাপতি সুপার মাওলানা মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা দাখিল মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সুপার মাওলানা মো. আব্দুছ ছবুর। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আব্দুস সবুর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ করে শিক্ষার্থী মারুফ আহমদ, হামদ/না’ত ও মার্সিয়া পাঠ করে মো. হিফজুর রহমান ও মো. তাউহিদুল ইসলাম শ্রাবন। এ সময় অতিথিবৃন্দের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন মাদরাসার শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ফাজিল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একটি স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা মো. হবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষালাভের দু'টি মহান উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি হলো নিজের পূর্ণতা লাভ করা এবং মানবতার জন্য যে সমস্ত আমল আখলাক জ্ঞান বিশ্বাসের প্রয়োজন সেগুলো আজীবন চেষ্টা করে অর্জন করা। অন্যটি হলো মানুষজনকে পথ দেখানো। কেবল শুধু ওয়াজ নসিহত করে নয়, নিজেদের আমল, আচার-আচরণ দ্বারা মানুষকে সঠিকভাবে পথ দেখাতে হবে, যাতে মানুষ সঠিক পথ খুঁজে পায়।
তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আজ যারা বিদায় নিচ্ছেন আসলে এটি তাদের বিদায় নয়। তারা দ্বীন ইসলাম ও এই মাদরাসার প্রশস্তভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপর এই মাদরাসার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সবাই যেন এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যে কয়েকটি মাদরাসা এগিয়ে গেছে তার মধ্যে অন্যতম জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদরাসা। এ মাদরাসার অনেক ছাত্র আজ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত। মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করে মাদরাসাকে আজ এ অবস্থানে আনার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম। তিনি যে অবদান রেখেছেন তার বদলা দুনিয়া এবং আখেরাতে পাবেন।
ওএফ/আরআর-১৩
