সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৩, ২০২৫
০৭:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২৫
০৭:৩১ অপরাহ্ন
গাজায় গণহত্যা বন্ধ , মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলার উদ্যোগে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে চারটায় সিলেট নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফরের সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, উদীচী জেলা সভাপতি প্রদীপ দেব রায়, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ভাস্কর রঞ্জন, লেখক একে শেরাম, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ , বাসদ সিলেট জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মহীতোষ দেব মলয়, সিপিবি জেলা সাবেক সাধারণ অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন রশীদ শোয়েব, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট মোহিত লাল ধর, অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন দাশ খোকন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডা. হরিধন দাশ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, অ্যাডভোকেট রণেন সরকার রনি, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের হৃদেশ মোদি, চা শ্রমিক ফেডারেশনের অজিত রায়, অছ, ছাত্র ইউনিয়নের মনীষা ওয়াহিদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সুমিত রঞ্জন দাস পিনাক, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের তানজিনা বেগম ও আয়েশা আক্তার,বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সারফরাজ সারোয়ার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের বিশ্বজিৎ শীল, প্রমূখ।
সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং তেল সম্পদের উপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে ‘ইসরায়েল’ নামক একটি কৃত্রিম জায়নবাদী সামরিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে। ৭ হাজার কিলোমিটার দিয়ে শুরু হলেও ক্রমাগত ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে চলেছে ইসরাইয়েল সরকার। ইতিমধ্যেই গাজার অর্ধেক ভূমি দখল করে নিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়া অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলকে দানবে পরিণত করেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত, ১১ হাজার নিখোঁজ এবং ১ লক্ষ ১৫ হাজার আহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। লক্ষ্য লক্ষ্য ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ ভবন ধ্বংশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ২২ লক্ষ ফিলিস্তিনকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশে চলে যেতে বলেছে এবং গাজা আমেরিকাকে দিয়ে দিতে বলেছে।
সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন,এটি মুসলমান বনাম ইহুদিদের যুদ্ধ নয়, এটি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে ও ইসরাইলি জায়েনবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার লড়াই। গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে খোদ ইসরায়েলেও ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। ইসরায়েলের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক শক্তি ও ব্যক্তি ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ করছে। বর্তমান বিশ্বে একজন অগ্রগণ্য পদার্থবিদ যিনি ইহুদি তিনিও গাজায় ইসরাইয়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ করেছেন। ইসরাইলের পার্লামেন্টে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহুকে সিরিয়াল কিলার উল্লেখ করে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। একদিকে ধর্ম-বর্ণ, জাতি, দেশ নির্বিশেষে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে। অন্যদিকে মিসর, জর্ডান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কতিপয় মুসলিম দেশ জায়নবাদী ইসরাইল রাষ্ট্রের সাথে এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক রেখেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এএফ/০৩