তাহিরপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
১১:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
১২:১৯ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘তাহিরপুরে খাস কালেকশনের নামে চাঁদাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার হতে বৈঠাখালী বাঁধ ও ডাম্পের বাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীর নৌকাঘাটের টোল আদায়ের ইজারাদার আবুল কালাম খাঁ পারুল।
আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বালিয়াঘাট নতুন বাজারস্থ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পারুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা আবুল হোসেন খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাবেক ৪ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সে সূত্রে আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমার ও আমার বাবার প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশে স্থানীয় সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে ০৫.৪৬.৯০৯২.০০০.১১.০২৩.১৪-৫০.৩৪০ (৮) স্মারকে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১ বছরের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি নিয়মানুসারেই টোল আদায় করে আসছি। টোল আদায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজিনুরসহ একটি চক্র ঘাটের ইজারা না পেয়ে খাস কালেকশনের টোল আদায়ে আমার কাছে চাঁদা দাবিসহ নানাভাবে হয়রানি ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন এবং মানববন্ধন করিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাজিনুরের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যার প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। শুধু তাই নয়, গত ২ নভেম্বর রাতে ইউপি সদস্য সাজিনুরের নেতৃত্বে একদল চাঁদাবাজ পাঠলাই নদীর বৈঠাখালি বাঁধে টোল আদায়ে নিয়োজিত আমার লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করে। তাদের কথামতো চাঁদা না দেওয়ায় টোল আদায়কারী শাহনেওয়াজকে মারধর করে তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া আমি বীরেন্দ্রনগর (বাগলী) শুল্ক স্টেশনের একজন আমদানিকারক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি। এর বাইরে আমদানিকারক সমিতিতে ব্যবসায়িক প্রয়োজন ব্যাতীত অন্য কোনো ধরণের কার্যক্রমে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এএইচ/বিএন-০৮/আরআর-০৬