নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তের জন্য গত শনিবার থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ১৫টি অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
বিষয়টি সিলেট মিররকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
তিনি বলেন, ‘রবিবার মোট ১৫ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনের পজিটিভ আসে এবং ৯ জনের ফলাফল নেগেটিভ আসে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেটসহ দশটি জেলায় গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও এই টেস্ট শুরু হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট দশটি জেলার চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও পরিসংখ্যানবিদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর)।
শামসুদ্দিন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যাদের মধ্যে তিন দিন বা এর বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে, শুধুমাত্র তাদের নমুনার অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই, তাদের নমুনা স্বাভাবিকভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য প্রথম সিলেটে ৫০০ কিট পাঠানো হয়েছে। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই আরও কিট পাঠানো হবে।
এদিকে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য সিলেটে একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা, একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও একজন পরিসংখ্যানবিদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টের নমুনা সংগ্রহের এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে করোনার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অ্যান্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ ফল এসেছে এমন একজন সিলেট মিররকে বলেন, ‘৫ দিন আগে ঢাকা থেকে আসার পর আমার জ্বর, কাশি ও সর্দিসহ করোনার বেশকিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এ অবস্থায় রবিবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করি। কিছু সময়ের মধ্যে আমাকে ফলাফল নেগেটিভ আসার কথা জানানো হয়। দ্রুত ফল জানতে পেরে স্বস্তিবোধ করছি। কারণ কিছুদিন আগেও প্রায় ২ থেকে ৩ দিন লেগে যেত করোনার পরীক্ষার ফল জানতে।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘যাদের জ¦র, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকবে তাদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে থাকি। তবে এই লক্ষণগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে কোনো ফি নেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু আমরা ২টি নমুনা সংগ্রহ করি, একটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ও একটি আরটি পিসিআর ল্যাবের জন্য, সেহেতু আরটি পিসিআর পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি রাখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হলে আগের মতোই সকালে এসে হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। চিকিৎসকরা অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রয়োজন মনে করলে ১২টায় নমুনা সংগ্রহ করবেন এবং দুপুরের মধ্যেই ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্টে কম হচ্ছে কি না জানতে চাইলে সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘আমরা ৫০০টি অ্যান্টিজেন কিট পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিদিন লক্ষণ আছে এরকম ২০-২৫ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। টেস্ট কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খুব বেশি মানুষ এখন টেস্টের জন্য হাসপাতালে আসছেন না।’
এনএইচ/বিএ-০১