দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
০২:০৫ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীকে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার ওই দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদ (৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মনোয়ার আলীর পুত্র শাহনুর মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদ ২০১৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দপ্তরী পদে নিয়োগ পান। ওইসময় উল্লেখিত বিবাদী শাহনুর মিয়া তার সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষা দিলেও তার চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ায় বিবাদীর মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। বিবাদী শাহনুর মিয়া সবসময় সুযোগ খুঁজতে থাকেন কিভাবে তোফায়েলকে শায়েস্তা করা যায়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের কম্পাউন্ডে রঙের কাজের তদারকি করার সময় বিবাদী শাহনুর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে সরকারি কাজ করতে বাধা দেন। কোনো কিছু বলার আগেই বিবাদী তোফায়েলের উপর হামলা চালিয়ে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা গাছের সঙ্গে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় চাবুক মেরে নির্যাতন করতে থাকেন। এতে তোফায়েলের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দপ্তরী তোফায়েলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছেন শাহনুর। এ সময় তোফায়েলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রেরণ করেন স্থানীয়রা। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দপ্তরী তোফায়েল।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল আবেদীন এ প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসটি/আরআর-০৯