ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১০, ২০২০
০১:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০২০
০১:১২ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে থাকা ইউপি সচিবের কক্ষে ঢুকে গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না ওই কক্ষে থাকা দাপ্তরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম মধ্যনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও কয়েকজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চামরাদানী ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবনটি ১৫/২০ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উপজেলার মধ্যনগর বাজারে ওই ইউনিয়ন পরিষদের একটি অস্থায়ী কার্যালয় রয়েছে। ওই কার্যালয়ে ৩টি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষে পরিষদের কার্যক্রম, আরেকটি কক্ষে তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের কার্যক্রম এবং অপর একটি কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অস্থায়ীভাবে বসবাস করার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেখানে রাখা হয়। গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না ওই ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা বিপুল দে'র সহায়তায় অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। প্রায় ২ ঘন্টা সেখানে অবস্থান করে ইউপি সচিবের অস্থায়ী কক্ষের তালার কড়া কৌশলে খুলে ওই কক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান সেখান থেকে এলজিএসপি'র ক্যাশ বুক, ক্যাশ রেজিস্ট্রার, বিল রেজিস্ট্রার, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার, ভিজিডি মাস্টার রোলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে চামরদানী ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তো বিপুল দে বলেন, '১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চেয়াম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে আমি তালা খুলে দিই। তিনি তার এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেছিলেন। তবে কোনো কাগজপত্র নেওয়ার বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি।'
চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'চেয়ারম্যা্ন সাহেব তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ৭ ডিসেম্বর কিছু কাগজপত্র আমার কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাগজপত্র এখনেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমার ধারণা চেয়ারম্যান সাহেবই এসব কাগজপত্র নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।'
আর এ ঘটনায় অভিযুক্ত চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না বলেন, 'মধ্যনগর বাজারে থাকা আমাদের অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও নিজ বাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রগুলো কোথাও না কোথাও রাখা রয়েছে। আমি দুই-একদিনের মধ্যে বাড়িতে আসার পর এ সমস্যার সমাধান হবে।'
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এসএ/আরআর-০৯