জকিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১২, ২০২০
১২:৪৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০২০
১২:৪৬ পূর্বাহ্ন



জকিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান

সিলেটের জকিগঞ্জে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে বারহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে গভীরতার সৃষ্টি হয়ে তীরবর্তী বাড়িঘর, ফসলি জমিতে ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে। 

এ নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী চক ও উত্তর খিলোগ্রামের বেশিরভাগ বাড়িঘর ও ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে শাহগলী বাজারসহ আশেপাশের জনবসতি ও স্থাপনা। সুরমা নদীর ওপারে কানাইঘাট উপজেলার কায়স্থগ্রাম রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক স্থাপন করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। গুচ্ছ গ্রামের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করার কথা বলে বারহাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। নদীতে গভীরতার সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া আগামী বর্ষা মৌসুমে দেখা দিতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় কৃষকদের অসত্য তথ্য দিয়ে একদিনের নোটিশে ফসলি জমির কাঁচা-পাকা ধান কাটতেও বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বারহালের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আজিজুর রহমান, জুবের আহমদ, সাদেক আহমদ চৌধুরীসহ এলাকাবাসী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর, ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা না করে ব্যক্তি মুনাফার জন্য পরিবেশ নষ্ট করে জনগণের মুখের গ্রাস ও বসতবাড়ি ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছেন চেয়ারম্যান মোস্তাক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি কাজের স্বার্থে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিষয়টি পিআইও, ইউএনওসহ সবাই অবগত।’

তবে জকিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেননি। খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।’

 

ওএফ/আরআর-০৫