মাশরাফি নৈপুণ্যে চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০৩:৪২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০৩:৪২ পূর্বাহ্ন



মাশরাফি নৈপুণ্যে চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফির ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে চট্টগ্রামকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। খুলনার জয়ে ব্যাট হাতে জহুরুল ইসলাম অমির ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর চট্টগ্রামের টপ অর্ডারের ৩ উইকেট নিয়ে বিপাকে ফেলে দেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করা খুলনার উড়ন্ত সূচনা হয়েছিল জহুরুল ইসলাম অমির ব্যাটে। ওপেনার জাকির হোসেন করেন ২২ (১৬) রান। জাকিরের বিদায়ের পর ৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন অমি। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস।

সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২ বলে ২৫ রান করে বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ ঝড় তোলেন চার-ছয়ের। সঞ্জিতের এক ওভারে হাঁকান ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ৩টি ছয় আর ২টি চারে ৩০ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

শেষ দিকে আরিফুলের ১৫, সাকিবের ২৮ আর মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ১ ছয়ে ভর করে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় চট্টগ্রামকে। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, ১টি করে উইকেট নেন সঞ্জিত শাহা ও মোসাদ্দেক হোসেন।

খুলনার দেয়া বড় লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে শুরু থেকে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা যায় চট্টগ্রামের ব্যাটারদের মাঝে। ইনিংসের প্রথম ওভারে লিটনের ১২ রান তোলার পর শেষ বলে স্ট্রাইকে আসা সৌম্য সরকারকে শূন্য রানে বিদায় করেন মাশরাফী।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাসকে ২৪ (১৩) রানে বোল্ড করে ফেরান মাশরাফী। এই উইকেট দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দলীয় ১০০ রানের মাথায় চট্টগ্রামের তৃতীয় উইকেটও তুলে নেন মাশরাফী। ৩১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসের হাতে।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা চট্টলার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৫ বলে ৫৩ করে ফেরার পর আসা যাওয়ার মিছিলে মাতে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। তবে মাশরাফী তার শেষ ওভারে নেন আরও দুই উইকেট। বিদায় করেন শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম মাশরাফির ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থামে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে। ৪৭ রানের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে খুলনা আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঢাকার সঙ্গী হলো চট্টগ্রাম। খুলনার হয়ে মাশরাফি নেন ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট, ২টি করে নেন হাসান মাহমুদ ও আরিফুল হক। ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
এএন/০৪