জগন্নাথপুরে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
০৮:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
০৮:০৮ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ

পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে অবিচারের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে উপজেলা পরিষদের রাধারমণ দত্ত মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একজন মেয়র প্রার্থীসহ ৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন ও ৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র মামলাজনিত কারণে স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে বসে তিনি একজন মেয়র প্রার্থী ও চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী বাদে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ২০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিলের শেষদিনে ৫ মেয়র প্রার্থী, ৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমজাদ আলী শফিকের দাখিলকৃত হলফনামায় প্রার্থীর নিজের স্বাক্ষর না থাকায় এবং একজন সমর্থনকারী পৌরসভার বাইরের নাগরিক হওয়াইয় মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। মামলাজনিত কারণে পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। এছাড়া মামলাজনিত কারণে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইজনসহ হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, ভুলক্রমে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। অথচ মামলাজনিত কারণে প্রার্থীদের মনোনয়ন স্থগিত করে আবার বৈধ ঘোষণা করা হয়। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ আলী শফিক মিয়া বলেন, 'আমি প্রবাসে বসবাস করলেও এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছি। আসন্ন নির্বাচনে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি। অনিচ্ছাকৃত ছোট্ট একটি ভুলের জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেক প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হলেও আমাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আপিল করব।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, যা করা হয়েছে আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। আইনের বাইরে কিছুই করা হয়নি।

 

এএ/আরআর-০৩